
ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায় | How to Remove Blackheads in Bengali
সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি সকলেই উজ্জ্বল এবং দাগ-ছোপহীন ত্বক পেতে চান। আর আপনার সুন্দর ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য একাই যথেষ্ট কিছু ব্ল্যাকহেডস। নাকের দু’পাশে, কপালে, গালে বা থুতনিতে বেরনো ব্ল্যাকহেডস নিয়ে অধিকাংশেরই দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। নখ দিয়ে চেপে বা স্ট্রিপ লাগিয়ে কয়েকটা ব্ল্যাকহেডস তুলে ফেললে পরের দিন আবার গোটাকয়েক এসে হাজির হয়। এই নাছোড়বান্দা ব্ল্যাকহেডসের হাত থেকে মুক্তি পেতে বাধ্য হয়ে অনেকেই দামী দামী কসমেটিকসের ব্যবহার থেকে শুরু করে পার্লারে গিয়ে ক্লিনিং, স্ক্রাবিং বা ফেসিয়াল পর্যন্ত করান। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হয় না কিছুতেই। তাহলে উপায়?
চিন্তা করবেন না। আজ এই প্রবন্ধে আমরা জানাব ব্ল্যাকহেডস দূর করার ঘরোয়া কিছু সহজ উপায়। পাশাপাশি থাকবে বাজারজাত কিছু প্রোডাক্টের খোঁজও। ঘরোয়া টিপসের ক্ষেত্রে যে উপাদানগুলির হদিশ আমরা দেব, সেগুলি নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডস আর হবে না। আর সবচেয়ে ভালো বিষয় হল বেশি পরিশ্রমেরও প্রয়োজন নেই।
Table Of Contents
ব্ল্যাকহেডস কী?
ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা আমাদের কম-বেশি সকলেরই রয়েছে। আসলে ব্ল্যাকহেডস হল এক ধরনের ব্রণ ও কালো কালো ছোপ। অনেকসময় মুখে অতিরিক্ত তেল বা ধুলোবালি জমে কিংবা মৃত কোষের মাধ্যমে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাইয়। এই কারণেই মূলত ব্ল্যাকহেডসের সমস্যার সৃষ্টি হয়। সাধারণত দুই গালে, কপালে, নাকের দুপাশে, ঠোঁটের নীচে বা থুতনির মতো জায়গায় এই ব্ল্যাকহেডস দেখতে পাওয়া যায়। অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা মুখের পাশাপাশি ঘাড়ে, বুকে, হাতে ও কাঁধেও দেখা যায়।
আজকালকার যুগে খুব কম মানুষই রয়েছেন, যাঁরা খুব একটা বাইরে বের হন না। বরং অধিকাংশ মানুষকেই আজকাল নিজের কাজ বা বিভিন্ন কারণে বাইরে বেরোতে হয়। বাইরে বের হলে অতিরিক্ত দূষণের কারণে আমাদের ত্বকে ও মুখে ধুলোবালির আস্তরণ পড়ে। তাই প্রতিবার ভালোভাবে মুখ না ধুলে, তেল-ময়লা জমে রোমকূপ ও ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের ত্বকের নীচের থাকা তৈলগ্রন্থি থেকে একধরণের তেল বের হয়। সেই তেল, বিভিন্ন মৃত কোষের সমষ্টি আর এই বন্ধ হয়ে যাওয়া রোমকূপগুলি বাতাসে অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে কালো হয়ে যায় ও ব্ল্যাকহেডস তৈরি করে৷ অপরিষ্কার ত্বক, অতিরিক্ত ধূমপান ও দুশ্চিন্তার কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।
ব্ল্যাকহেডস কী কী কারণে হয়?
আসুন, আমরা জেনে নিই ঠিক কী কী কারণে আমাদের ত্বকে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা সেই বিষয়ে নীচে বিস্তারির ভাবে আলোচনা করলাম।
- হরমোনের পরিবর্তন বা ভারসাম্যহীনতা এটির একটি কারণ হতে পারে। বয়ঃসন্ধিকালে, কিশোর-কিশোরীদের শরীরের পাশাপাশি হরমোন নিঃসরণেও এক বিরাট পরিবর্তন আসে। এই সময় সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে সিবাম উৎপাদন ও নিঃসরণ হয়। এই প্রক্রিয়াও ব্ল্যাকহেডসের সমস্যাকে ত্বরান্বিত করে। বয়ঃসন্ধির পরবর্তীতে, মহিলাদের পিরিয়ড চলাকালীন, গর্ভবতী থাকাকালীন, জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ ব্যবহারের কারণেও হরমোনের পরিবর্তন বা ভারসম্যহীনতা লক্ষ্য করা যায়। এবং এর থেকেও ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা হতে পারে।
- ত্বকের কোষের উৎপাদন অত্যধিক হারে বেড়ে গেলেও ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অত্যাধিক মেক-আপ বা কসমেটিক সামগ্রীর ব্যবহার ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ করে দিয়ে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা আনতে পারে।
- যাদের অত্যাধিক ঘাম হয় তাদের অনেকের মধ্যেই এই ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দেখা যায়। আসলে ঘাম জমে রোমকূপগুলি বন্ধ হয়ে গেলে ব্ল্যাকহেডস সৃষ্টি হয়।
- সবার ত্বক সমান হয় না। তাই অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য ওয়্যাক্সিং, শেভিং বা থ্রেডিং এর পরে হেয়ার ফলিকলগুলি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে ও ত্বকের সেনসিটিভিটি বৃদ্ধি পেলেও ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দেখা যায়।
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে, পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম থাকলে কিংবা পিএমএস অর্থাৎ মাসিকের পূর্ববর্তী সময়েও ব্ল্যাকহেডস ও ব্রণর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্ল্যাকহেডস চিনবেন কীভাবে?
আগেই বলেছি, ব্ল্যাকহেডস হল এক ধরনের ব্রণ। তবে এগুলি আকারে ব্রণর থেকে অনেকটাই ছোট। ব্রণর মতো অতটা স্ফীতভাব বা ব্যথাও ব্ল্যাকহেডসে হয় না। এমনকি ব্রণর মতো বিষিয়ে যাওয়ার বা সংক্রামিত হোয়ার ভয়ও ব্ল্যাকহেডসের ক্ষেত্রে নেই।
মুখে যদি ছোট ছোট কালো ছোপ বা কালো ব্যথাহীন ক্ষত লক্ষ্য করেন, তবে বুঝবেন আপনার মুখেও ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা রয়েছে। সাধারণত ত্বকের যেখানে যেখানে সেবেসিয়াস গ্রন্থি আছে, যেমন- গাল, মুখের টি-জোন, সেখানেই ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মনে রাখবেন, ব্ল্যাকহেডস শুধু নাক ও মুখের ওপর কালো দাগ নয়। প্রাথমিক পর্যায় থেকে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর করার চেষ্টা না করলে, এই ছোট ছোট দাগগুলিই আপনার ত্বককে কালো, অনুজ্জ্বল, অসম, খসখসে ও পিগমেন্টেড করে তুলতে পারে।
ব্ল্যাকহেডস দূর করার ঘরোয়া উপায়
চলুন, শুরুতেই জেনে নিই বাড়িতে বসে কম খরচ ও কম সময়ে কীভাবে আপনি ব্ল্যাকহেডস দূর করতে পারবেন।
১. মধুর ব্যবহার
সেই প্রাচীনকাল থেকে শুষ্ক ত্বক এবং মুখে কোনও প্রকার সংক্রমণ হলেই তার অনবদ্য চিকিৎসা হিসেবে মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে। রূপচর্চায় মধুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। মধু ত্বককে আর্দ্র ও কোমল রাখে। ফলে শুষ্ক ও মৃত কোষের মাধ্যমে ত্বকের রন্ধ্রগুলি বন্ধ হয়ে গিয়ে ব্ল্যাকহেডস হওয়ার কোনওরকম আশঙ্কাও থাকে না। (১) ব্ল্যাকহেডস সমস্যার প্রতিকারের পাশাপাশি মধু দিয়ে স্ক্রাবিং করে ব্ল্যাকহেডস গুলি তুলে নিতেও পারেন।
উপকরণঃ মধু, ছোট্ট এক টুকরো তুলো বা কটন বল।
পদ্ধতিঃ মধুর মধ্যে তুলো বা কটন বলটা ভিজিয়ে নিন। এবার ওই তুলো দিয়ে ব্ল্যাকহেডসের ওপর বা দরকারে সারা মুখে মধুর প্রলেপ লাগিয়ে নিন।
২০ মিনিট মতো অপেক্ষা করার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারঃ সপ্তাহে ৩ বা ৪ বার মধু ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর হবে।
২. গ্রিন টি-র ব্যবহার
গ্রিন টি’র মধ্যে থাকা পলিফেনল নামক উপাদানটি সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে সিবাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। (২) ফলে লোমকূপ ও ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে গিয়ে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার ভয়ও থাকে না।
উপকরণঃ গ্রিন টি ব্যাগ, জল, অ্যালোভেরা জেল
পদ্ধতিঃ দুটি টি ব্যাগের সমান চা পাতা গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর চা পাতাগুলি অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মেশান। এবার ব্ল্যাকহেডসের ওপর ফেস প্যাকটি লাগিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট মতো অপেক্ষা করার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারঃ সপ্তাহে ২ বার গ্রিনটি-র এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
৩. লেবুর ব্যবহার
লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি বা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড যা ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকলে, ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা আপনার কাছে ঘেঁষতে পারবে না। (৩) আর ভিটামিন-সি কোলাজেন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে মেরামত করে এবং ত্বককে করে তোলে আর্দ্র, কোমল ও টানটান। ত্বকের বলিরেখা ও কুঁচকানো ভাব কমায় এবং আপনার সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
উপকরণঃ এক চা চামচ মধু, এক চা চামচ লেবুর রস
পদ্ধতিঃ মধু আর লেবুর রস ভালোভাবে মেশান। এবার ব্ল্যাকহেডসের ওপর মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট মতো অপেক্ষা করার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারঃ নিয়মিত লেবু ও মধু ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর হবে।
মনে রাখবেন, লেবুর রস কারোর কারোর মুখে অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে। তাই লেবু ও মধুর এই ফেস প্যাকটির ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনার হাতে একবার প্যাচ টেস্ট করিয়ে নেবেন।
৪. বেকিং সোডার ব্যবহার
বেকিং সোডা খুব ভালো ফেস ক্লিনার হিসেবে কাজ করে। বেকিং সোডা ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব শুষে নেয় এবং জমে থাকা ধুলো ময়লা দূর করে। বেকিং সোডায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ, ব্ল্যাকহেডসের মতো সমস্যা দূর করে ও নির্মূল করে।
উপকরণঃ এক চামচ বেকিং সোডা ও প্রয়োজন মতো জল।
পদ্ধতিঃ বেকিং সোডার সঙ্গে জল মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবার ব্ল্যাকহেডসের ওপর পেস্টটি লাগিয়ে নিন। পেস্টটি শুকিয়ে যাওয়ার পর, ত্বকের ওই অংশে হালকা হাতে ৫ মিনিট মতো ম্যাসাজ করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ব্যবহারঃ সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে বেকিং সোডা দিয়ে ফেস স্ক্রাব করলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর হবে।
৫. মুলতানি মাটির ব্যবহার
মুলতানি মাটি প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকে জমে থাকা ধুলো-ময়লা, মৃত কোষ, ব্ল্যাকহেডস দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব কমিয়ে ব্রণ বা ব্ল্যাকহেডসের মতো সমস্যাও দূর করে। যে কোনও রকম কালো দাগ দূর করতেই মুলতানি মাটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
উপকরণঃ মুলতানি মাটি, গোলাপ জল, শসার রস
পদ্ধতিঃ মুলতানি মাটির সঙ্গে শসার রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করে নিন। এর সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল ও যেকোনও রকম এসেন্সিয়াল অয়েলও মেশাতে পারেন। প্যাকটি সারা মুখে লাগানোর পর ১০-১৫ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারঃ সপ্তাহে ১-২ বার মুলতানি মাটির এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর হবে।
মনে রাখবেন , এই প্যাকটির কোনও উপাদানে যদি আপনার অ্যালার্জি থাকে, তবে সেটি অবশ্যই বাদ দেবেন।
৬. হলুদের ব্যবহার
ভেষজ পদ্ধতিতে রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার অনস্বীকার্য। হলুদে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ, ফুসকুরি বা ব্ল্যাকহেডসের মতো যে কোনওরকম সংক্রমণ প্রশমিত করে এবং প্রতিরোধ করে। এছাড়াও হলুদে আছে কারকুমিন নামক এক উপাদান যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে। (৪) ফলে তেল-ধুলো-ময়লা ত্বকের ছিদ্রে জমে আর ব্ল্যাকহেডস হতে পারে না।
উপকরণঃ এক চামচ হলুদ গুঁড়ো ও এক চামচ জল
পদ্ধতিঃ হলুদ গুঁড়ো ও জল ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ঘন প্রলেপ বানান। ব্ল্যাকহেডস বা অ্যাকনের ওপর কোমলভাবে প্রলেপটি লাগান। প্রলেপটি শুকিয়ে যাওয়ার পর জল দিয়ে জায়গাটি ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারঃ নিয়ম করে প্রত্যেকদিন একবার হলুদের প্রলেপটি ব্ল্যাকহেডসের ওপর লাগালে কালো দাগগুলি দূর হবে।
৭. দারচিনির ব্যবহার
দারচিনির প্রধান উপাদান হচ্ছে সিনামেলডিহাইড যা কোলাজেন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে ত্বক করে তোলে টানটান ও দীপ্তিময়। (৫) দারচিনি ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
উপকরণঃ এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ দারচিনি গুঁড়ো।
পদ্ধতিঃ দারচিনি গুঁড়ো ও লেবুর রস মিশিয়ে একটি ঘন প্রলেপ বানান। ব্ল্যাকহেডসের ওপর প্রলেপটি লাগান। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারঃ সপ্তাহে ২-৩ বার প্রলেপটি ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর হবে।
মনে রাখবেন , লেবুর রস সকলের ত্বকে সহ্য হয় না, চুলকানি অনুভব করতে পারেন। তাই দারচিনি ও লেবুর এই প্যাকটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই হাতে প্যাচ টেস্ট করে নেবেন।
৮. টি ট্রি অয়েলের ব্যবহার
টি ট্রি অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-কমেডোজোনিক উপাদান যা ত্বকের বাড়তি তেল শুষে নেয়। (৬) ফলে ব্রণ আর ব্ল্যাকহেডসের মতো সমস্যা কমে। ব্ল্যাকহেডস পোরস তুলতে ও সাহায্য করে এই টি ট্রি অয়েল।
উপকরণঃ দু-তিন ড্রপ টি ট্রি অয়েল, যেকোনও রকম ভেষজ তেল বা ক্যারিয়ার অয়েল, কটন বল।
পদ্ধতিঃ দু-তিন ড্রপ টি ট্রি অয়েলের সঙ্গে নারকোল তেল মিশিয়ে নিয়ে, তেলের মধ্যে কটন বলটি ভিজিয়ে নিন। ব্ল্যাকহেডসের ওপর তেলের মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন।
ব্যবহারঃ নিয়ম করে প্রত্যেকদিন ৩-৪ বার তেলের মিশ্রণটি ব্ল্যাকহেডসের ওপর লাগালে কালো দাগগুলি দূর হবে।
৯. ক্যাস্টর অয়েলের ব্যবহার
ক্যাস্টর অয়েলে আছে রিসিনোলেইক অ্যাসিড যার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্লাকহেডসের সমস্যা কমায় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
উপকরণঃ স্টিম নেওয়ার জন্য ফুটন্ত গরম জল, ২-৩ ড্রপ ক্যাস্টর অয়েল, যেকোনও রকম ভেষজ তেল বা ক্যারিয়ার অয়েল।
পদ্ধতিঃ যেকোনও রকম ভেষজ তেল যেমন নারকোল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন। জল ফুটিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে তেলের মিশ্রণটি মেশান এবং ৫ মিনিট ধরে এই গরম জলের ভাপ মুখে নিন। গরম জলের ভাপ মুখে নেওয়ার পর আর মুখ ধোবেন না। সারা রাত এভাবেই থাকুন। পরের দিন সকালে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারঃ ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক সপ্তাহে ২ বার করে এভাবে তেল-জল মিশিয়ে ভাপ নিন ।
১০. অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, আর্দ্রতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অ্যালোভেরা। (৭) এছাড়াও অ্যালোভেরায় আছে জিংক যা ত্বককে টানটান করে, বয়সের ছাপ দূর করে এবং সাপোনিনস নামক এক বিশেষ উপাদান যা ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা মুক্তিতে অ্যালোভেরা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
উপকরণঃ আধা চামচ অ্যালোভেরা জেল
পদ্ধতিঃ মুখের যে যে অংশে ব্ল্যাকহেডস রয়েছে সেখানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখুন সারা রাত। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারঃ ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা পুরোপুরি উধাও না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকদিন নিয়ম করে রাতে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে হবে।
১১. নারকল তেলের ব্যবহার
শুষ্ক ত্বকের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নারকেল তেলের বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। তেল মাখলে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে, ফলে শুষ্ক ত্বকে সমস্যা কমে। (৮) ফলত, মৃত আর শুষ্ক কোষ জমে ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে না। এছাড়াও নারকেল তেলে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্ল্যাকহেডস ও অ্যাকনের (৯) সমস্যা নির্মূল করে।
উপকরণঃ নারকল তেল
পদ্ধতিঃ যে যে অংশে ব্ল্যাকহেডস হয়েছে, সেখানে নারকল তেল লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনার ত্বক তেলটা ভালোভাবে শুষে নিচ্ছে।
ব্যবহারঃ যতদিন না পুরোপুরি ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত নিয়ম করে দিনে দু’বার নারকোল তেল মুখে মাখতে হবে ।
নাকের ব্ল্যাকহেডস কীভাবে দূর করবেন?
চলুন, দেখে নিই কী কীভাবে আপনি নাকের ওপর জমে থাকা ব্ল্যাক হেডস দূর করতে পারবেন। আমরা নীচে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
- ব্ল্যাকহেডস রিমুভাল স্ট্রিপের ব্যবহারঃ নাকের দুপাশে বা মুখে হওয়া ব্ল্যাকহেডসগুলি তুলে ফেলার জন্য ব্ল্যাকহেডস রিমুভাল স্ট্রিপ ব্যবহার করতে পারেন। স্ট্রিপগুলি সহজেই মুখ থেকে মৃত কোষ, ধুলো-ময়লা তুলে ফেলে।
- স্টিম ফেসিয়ালঃ স্ট্রিপ ব্যবহারের আগে মুখে গরম জলের ভাপ নিতে পারেন। এতে ত্বকের ছিদ্রগুলি ভালোভাবে উন্মুক্ত হবে এবং সহজেই ব্ল্যাকহেডসগুলি তুলতে পারবেন।
- ত্বকের এক্সফোলিয়েশনঃ আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক হয় তবে সপ্তাহে তিন বার আর শুষ্ক বা সাধারণ ত্বক হলে সপ্তাহে এক থেকে দু বার স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে ত্বককে এক্সফোলিয়েট করুন। প্রত্যেকবার এক্সফোলিয়েশনের পরে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। আপনার সেনসিটিভ স্কিন হলে এক্সফোলিয়েশন ট্রিটমেন্ট শুরু করার আগে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিতে পারেন।
- ফেস স্ক্রাব ও ফেস মাস্কের ব্যবহারঃ ঘরে বানানো বা বাজার থেকে কেনা বিভিন্ন রকম ফেস মাস্ক বা ফেস স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন।
ঘরোয়া উপায়ে বানানো ব্ল্যাকহেডস স্ক্রাব
ব্ল্যাকহেডসের হাত থেকে মুক্তি পেতে আমরা কত কীই না করি। এবার জেনে নিন ব্ল্যাকহেডস দূর করার জন্য ঘরে বানানো কিছু স্ক্রাবের হদিশ।
১. নারকেল তেলের স্ক্রাব
নারকোল তেল ত্বককে আর্দ্র, কোমল ও নমনীয় করার পাশাপাশি সংক্রমণ মুক্ত করে তোলে। আর কোকোনাট সুগার মৃত কোষ সরিয়ে ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। নারকোল তেল ও কোকোনাট সুগারের স্ক্রাব ত্বকের অতিরিক্ত তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করে।
উপকরণঃ এক চামচ নারকোল তেল ও এক চামচ কোকোনাট সুগার
পদ্ধতিঃ তেলের মধ্যে কোকোনাট সুগার মিশিয়ে ভালোভাবে মেশান যতক্ষণ না পর্যন্ত পুরোটা মিশে যায়। মিশ্রণটি সারা মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে গোল গোল করে হাত দিয়ে ম্যাসাজ করুন। তিন-চার মিনিট স্ক্রাব করার পর ঈষৎ উষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ঠাণ্ডা জল দিয়ে আরো একবার মুখ ধুয়ে নিন।
ব্যবহারঃ সপ্তাহে দু’বার ১০ মিনিটের এই স্ক্রাবিং আপনাকে দিতে পারে ব্ল্যাকহেডস মুক্ত ত্বক।
২. কফি ফেস স্ক্রাব
কফি শুধু আপনাকে চনমনেই করে তোলে না আপনার ত্বককেও করে তুলতে পারে প্রাণবন্ত, ঝকঝকে ও দাগহীন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কফির স্ক্রাব ত্বকের মধ্যে রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে।
উপকরণঃ এক টেবিল চামচ কফির গুঁড়ো ও এক টেবিল চামচ দই।
পদ্ধতিঃ দইয়ের সঙ্গে কফি মিশিয়ে আলতো হাতে দু-তিন মিনিট ধরে মুখে স্ক্রাব করা উচিৎ। দইয়ের বদলে মধুও ব্যবহার করা যেতে পারে। পাঁচ-সাত মিনিট অপেক্ষা করার পর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
ব্যবহারঃ সপ্তাহে দু’বার কফির এই স্ক্রাব ব্যবহার করলে ফর্সা, উজ্জ্বল ও ব্ল্যাকহেডসমুক্ত ত্বক পেতে পারেন।
মনে রাখবেন, অনেকের ত্বকেই দই সহ্য হয়নি। তাই দই মুখে লাগানোর আগে একবার নিজের হাতে লাগিয়ে দেখে নিন।
৩. ওটমিল ফেস স্ক্রাব
ওটমিল-দই-মধুর স্ক্রাব ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ও অত্যাধিক তেল শুষে নেয়। ওটমিল ত্বককে মসৃণ ও গভীরভাবে পরিষ্কার করে। দই অত্যধিক সিবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে আর মধু ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
উপকরণঃ এক টেবিল চামচ ওটমিল, এক টেবিল চামচ দই, এক টেবিল চামচ মধু। তবে দইয়ে কারোর অ্যালার্জি থাকলে তার পরিবর্তে গোলাপ জল ব্যবহার করা যাবে।
পদ্ধতিঃ সকল উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট বানাতে হবে। মিশ্রণটি সারা মুখ ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর, স্ক্রাবিং শুরু করতে হবে। আঙুল ভিজিয়ে গোল গোল করে তিন-চার মিনিট ধরে স্ক্রাব করতে হবে। স্ক্রাবিং শেষ হয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
ব্যবহারঃ সপ্তাহে এক বা দু’বার এই স্ক্রাবটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাজার চলতি সেরা ব্ল্যাকহেডস মাস্কঃ
১. L’Oréal Paris Pure Clay Mask Detoxify with Charcoal
এই স্ক্রাবটিতে আছে চারকোলের শক্তি যা অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ব্রণ বা ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা কমায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ফর্সা ভাব বাড়ায়। স্ক্রাবের ডিটক্স ফর্মুলা ১০ মিনিটের মধ্যে আপনার দীপ্তিহীন নিস্তেজ ত্বককে করে তোলে প্রাণবন্ত।
২. Faces Canada Urban Balance Charcoal Peel Off Mask
এই পিল-অফ মাস্কটি বাইরের অত্যধিক তাপমাত্রা ও দূষণের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এর অ্যাক্টিভেটেড চারকোল ফর্মুলা ত্বকে জমে থাকা সব ধুলো-ময়লা দূর করে এবং হলদেটে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। পাশাপাশি উন্মুক্ত কোষগুলিতে শান্তভাব বজায় আনে। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্রণ বা ব্ল্যাকহেডসের সমস্যারও প্রতিকার করে।
৩. The Body Shop Tea Tree Skin Clearing Clay Mask
এই স্ক্রাবটিতে আছে টি ট্রি অয়েল যা ত্বকের দাগ ছোপ দূর করে, ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় ও অত্যধিক সিবাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। সপ্তাহে ১৫ মিনিটের একটা স্ক্রাবিং সেশন আপনাকে ব্ল্যাকহেডস নামক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৪. Garnier Skin Naturals, Charcoal, Face Serum Sheet Mask
ব্ল্যাকহেডসে ভরা অমসৃণ, অনুজ্জ্বল ত্বককে কিছু সময়ের মধ্যে মসৃণ ও দীপ্তিময় করে তুলতে পারে এই মাস্কটি। এর ডিপ ক্লিনজিং ফর্মুলা জমে থাকা ধুলো ময়লার পাশাপাশি মৃত কোষ, ব্ল্যাকহেডস তুলে ফেলে এক টানে।
৫. Origin Clear Improvement: Active Charcole Mask
এই মাস্কটি অয়েলি স্কিনের জন্য খুবই কার্যকরী। এতে থাকা ব্যাম্বু চারকোল ত্বকে জমে থাকা ধুলো ময়লা, আরও নানা ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করে আর হোয়াইট চায়না ক্লে ত্বককে টক্সিন মুক্ত করে উজ্জ্বল দাগহীন করে তুলতে সাহায্য করে।
ব্ল্যাকহেডসের আনুষাঙ্গিক অন্যান্য চিকিৎসা
ব্ল্যাকহেডস দূর করার জন্য ঘরোয়া এই পদ্ধতিগুলির ফলাফল পাওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, দ্বারস্থ হতে পারেন কোনও ডার্মাটোলজিস্টের। চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাছেও আছে এর চটজলদি সমাধান। যেমন –
- পোর স্ট্রিপসের ব্যবহার
ব্ল্যাকহেডস সমস্যার সব থেকে সহজ সমাধান হল বাজার থেকে কেনা পোর স্ট্রিপসের ব্যবহার। স্ট্রিপস ব্যবহার করে নাকে, মুখে জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস নিমেষের মধ্যে তুলে ফেলে ঝকঝকে দাগহীন ত্বক পাওয়া যায়।
- রেটিনয়েড ক্রিমের ব্যবহার
চিকিৎসক বা ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনার স্কিন কেয়ার রুটিনে রেটিনয়েড যুক্ত ক্রিম, জেল বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। আনুমানিক ৫ সপ্তাহের মধ্যে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর করার কাজ শুরু করবে এই ক্রিম। তবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এই রেটিনয়েডযুক্ত ক্রিম বিপজ্জনক হতে পারে।
ব্ল্যাকহেডস প্রতিরোধের জন্য কিছু পরামর্শ
আসুন আমরা জেনে নিই ব্ল্যাকহেডস প্রতিরোধের জন্য আপনার কী কী করণীয়।
কী কী করা উচিৎ
- তেল মুক্ত কসমেটিকের ব্যবহার – বাইরে বেরোলে ধুলো মইয়লার যে আস্তরণ পড়ে, তার সঙ্গে মুখে থাকা তেল মিশে ত্বকের ছিদ্রগুলিকে বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্ল্যাকহেডসের সৃষ্টি হয়। তাই সবসময় তেল মুক্ত সান-স্ক্রিন বা ক্রিম ব্যবহার করা উচিৎ।
- দু’বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস – সব সময় বাইরে থেকে এলে ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নেওয়া উচিৎ। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে একবার এবং পরে এক্সারসাইজ করলে বা অত্যাধিক ঘাম হলেও মুখ ধুয়ে ফেলা উচিত। বাড়িতে থাকলেও দিনে অন্তত দু’বার ফেস ক্লিন করা উচিৎ। এতে মুখে জমে থাকা ধুলো ময়লা, ব্যকটেরিয়া ধুয়ে যায়।
- ক্লিনজিং ব্রাশের ব্যবহার – ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করার জন্য ক্লিনজিং ব্রাশের ব্যবহার করা উচিত।
- ময়েশ্চারাইজ করা – প্রত্যেকবার ফেস ওয়াশ বা স্ক্রাব করার পর বা ফেস প্যাক লাগানোর পর অবশ্যই স্কিনে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত।
কী কী করা উচিৎ নয়
- ত্বকে অত্যধিক স্ক্রাবিং করা উচিৎ নয়, এতে ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়তে পারে। আবার ত্বকের ছিদ্রগুলি অত্যধিক উন্মুক্ত হয়ে গেলে বেশি ধুলো-ময়লাও জমতে পারে।
- অত্যধিক ফেস ওয়াশ করাও উচিৎ নয়। এতে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে গিয়ে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
তাহলে জেনে নিলেন কী কী উপায়ে আপনি আপনার ত্বককে ব্ল্যাকহেডস মুক্ত করতে পারবেন। তাই চিন্তা না করে এই উপায়গুলি মেনে চলুন আর অপেক্ষা করুন দারুন ফল পাওয়ার।
9 sources
- Medicinal and cosmetic uses of Bee’s Honey – A review
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3611628/ - Green Tea and Other Tea Polyphenols: Effects on Sebum Production and Acne Vulgaris
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC5384166/ - Biological Activities and Safety of Citrus spp. Essential Oils
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6073409/ - Turmeric, the Golden Spice
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/books/NBK92752/ - Skin Ageing: Natural Weapons and Strategies
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3569896/ - A comparative study of tea-tree oil versus benzoylperoxide in the treatment of acne
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/2145499/ - ALOE VERA: A SHORT REVIEW
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC2763764/ - A randomized double-blind controlled trial comparing extra virgin coconut oil with mineral oil as a moisturizer for mild to moderate xerosis
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/15724344/ - The antimicrobial activity of liposomal lauric acids against Propionibacterium acnes
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/19665786/

Latest posts by StyleCraze (see all)
- সোনা পাতার উপকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া | Senna Leaf Benefits and Side Effects in Bengali - April 14, 2021
- বজ্রাসন কীভাবে করবেন এবং এর উপকারিতা কী কী ? জানুন | Benefits of Vajrasana in Bengali - April 9, 2021
- মিছরির উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া | Mishri Benefits and Side Effects in Bengali - April 9, 2021
- রেড ওয়াইন খাওয়ার উপকারিতা, এর ব্যবহার এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া । Red Wine Benefits and Side Effects in Bengali - April 9, 2021
- রামবুটান এর উপকারিতা, ব্যবহার এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া | Rambutan Benefits, Uses and Side Effects in Bengali - April 9, 2021
