ম্যাঙ্গোস্টিন (গাব জাতীয় একটি ফল) ফলের স্বাস্থ্যোপযোগীতা, ব্যবহার এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া | Mangosteen Fruit Benefits, Uses and Side Effects

ম্যাঙ্গোস্টিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের একটি ক্রান্তীয় ফল। এই ফল সাধারণত একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা উপশম করতে ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যর কারণে এই ফলে বিশেষভাবে প্রশংসিত। যদিও কিছু গবেষণা সূত্রে বর্তমানে এই ফলের কুপ্রভাব বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কে জানা গিয়েছে। প্রাচীনকালে মধুমেহ বা ডায়বিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির অসুখ, ত্বকের সমস্যার নিরাময়ের এই ম্যাঙ্গোস্টিন ফলের ব্যবহার হতো।
অবশ্য ম্যাঙ্গোস্টিন ফল সকলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সমান কার্যকরী হয়না। অনেকসময় দেখা যায় কেমোথেরাপি চিকিৎসাধীন রোগীর ক্ষেত্রে এই ফল অস্বাস্থ্যকর হয়ে দাঁড়ায়। শুধু তাই নয় একইসাথে এই ফল কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার ক্ষেত্রেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই খাদ্য হিসেবে ম্যাঙ্গোস্টিন গ্রহণের পূর্বে জেনে নেওয়া দরকার তা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কতটা উপকারী।
In This Article
ম্যাঙ্গোস্টিনের স্বাস্থ্যোপযোগীতা –
ম্যাঙ্গোস্টিনের স্বাস্থ্যোপযোগীতা গুলি হলো নিম্নরূপ –
১। মধুমেহ বা ডায়বিটিস নিয়ন্ত্রক – অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ইনসুলিন ক্ষরণের ক্ষেত্রে বাধা প্রদত্ত হলে রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায় মূলত ফ্রি র্যাডিক্যালসের বিনাশের ফলে। ফ্রি র্যাডিক্যালস হলো সক্রিয় রাসয়নিক আয়ন। যা প্রত্যক্ষভাবেই অগ্ন্যাশয়ের কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালকে প্রতিআক্রমন করে। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্যের মধ্যে ম্যাঙ্গোস্টিন হলো একটি অন্যতম। এই ফল অতি সহজেই শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ মাত্রায় বজায় রাখে। প্রসঙ্গত ম্যাঙ্গোস্টিন, ফাইটকেমিক্যালস সমৃদ্ধ হয় যার মধ্যে রয়েছে জ্যান্থন। এই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনায়াসেই ফ্রি র্যাডিক্যালসের কার্যকলাপ নিস্ক্রিয় করতে পারে। ফলে স্বাভাবিকভাবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।(1)
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা শক্তি বর্দ্ধক – শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ম্যাঙ্গোস্টিনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি অন্যতম উৎস ম্যাঙ্গোস্টিন। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্য হিসেবে ম্যাঙ্গোস্টিন গ্রহণ করলে স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৩। প্রদাহ নাশক উপাদান সমৃদ্ধ – ম্যাঙ্গোস্টিনের প্রধাণ জৈব সক্রিয় যৌগ হলো আলফা ম্যাঙ্গোস্টিন। এই আলফাম্যাঙ্গোস্টিন অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি বা প্রদাহ নাশক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হয়। এটা শরীরের প্রদাহ সৃষ্টিকারী রাসয়নিক ক্ষরণ বার্তাবাহকদের নিঃসরণে বাধা প্রদাণ করে। এছাড়াও আলফা ম্যাঙ্গোস্টিন শরীরে ইন্টারলিউকিন এবং নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনকারী জিনের সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে যা শরীরে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগের তীব্রতা নিয়ন্ত্রোন করতে পারে। একইসাথে ম্যাঙ্গোস্টিনের অ্যান্টিঅ্যালার্জিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।(2)
৪। ক্যান্সার প্রতিরোধক – ম্যাঙ্গোস্টিন জ্যান্থনের একাধিক জৈবিক ক্রিয়াকলাপ রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো এর ক্যান্সার বিরোধী প্রভাব। আলফা-ম্যাঙ্গোস্টিন, বিটা-ম্যাঙ্গোস্টিন, এবং গামা-ম্যাঙ্গোস্টিন মানবদেহের বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধক কোষে বিশেষভাবেই কার্যকর। এই জ্যান্থন ক্যান্সার কোষের মৃত্যু নিশ্চিত করে। গবেষণা সূত্রে জানা গিয়েছে স্তন, কোলন, প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে ম্যাঙ্গোস্টিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।(3)
তবে একটা কথা মাথায় রাখা দরকার যে ইতিমধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তি ম্যাঙ্গোস্টিন গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
৫। ওজন হ্রাসক – শরীরে প্রদাহ সৃষ্টিকারী যৌগ বৃদ্ধির সাথেসাথেই মেদ বৃদ্ধির প্রবণতাও বৃদ্ধি পায়। এই যৌগ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন কিডনি, মস্তিষ্ক, ফুসফুস এবং লিভার ও হার্টের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি সাধন করে। দেহের মেদ হ্রাস বা ওজন কমানোর জন্য পূর্ব এশিয় ওষুধ শিল্পে স্বদেশীয় ফল যেমন ম্যাঙ্গোস্টিন ব্যবহার করা করা হয়। ম্যাঙ্গোস্টিনের নির্যাস মোট কোলেস্টেরল এবং এলডিএল মাত্রা হ্রাস করে একইসাথে এইচডিএল এর মাত্রা বৃদ্ধি করে।(4)
৬। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট – ম্যাঙ্গোস্টিনের খোসা, শাঁসে পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্যান্থনের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। এই জৈব অনুতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিরাজমান হয়। ম্যাঙ্গোস্টিনের খোসাতে বিভিন্ন প্রকারের ফেনোলিক অ্যাসিড যেমন প্রোটোক্যাটেচুয়াক অ্যাসিড, কাউমার্ক অ্যাসিড, ক্যাফেক অ্যাসিড, এবং ফেরুলিক অ্যাসিড ইত্যাদি বর্তমান থাকে। এগুলির মধ্যে চিহ্নিত ফ্ল্যাভোনয়েডের কয়েকটি হলো অ্যান্থোসায়ানিনস, প্রোনথোসিয়ানিদিন, এপিক্যাটেটিন, জ্যান্থোনেস, সায়ানিদিন-৩-সোফোরসাইড, এবং সায়ানিদিন-৩-গ্লুকোজসাইড ইত্যাদি। তাই ম্যাঙ্গোস্টিনের নির্যাস খাদ্য প্রস্তুতকারক শিল্প, ওষুধ শিল্প, প্রসাধন শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।(5)
৭। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রক – ম্যাঙ্গোস্টিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা হৃদস্পন্দনের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও এই ক্রান্তীয় ফলে জ্যান্থনের উপস্থিতি হৃদযন্ত্রের সুস্থ্যতা বজায় রাখে। একইসাথে ফ্রি র্যাডিক্যালসের বিরুদ্ধে লড়াই করে রক্তে কোলেস্টেরল জমা হতে বাধা প্রদান করে। অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস এবং ইস্কিমিক হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।(6)
৮। ব্রণ এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়া প্রতিরোধক – ক্রান্তীয় এই ফলের নির্যাসে চমৎকার অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ব্যাক্টেরিয়াল স্ট্রেন যেমন সিউডোমোনাস এরুগিনোসা, সালমোনেলা টাইফিমুরিয়াম, প্রোপিওনিব্যাকটেরিয়া ব্রণ, এবং ব্যাসিলাস সাবটিলাস ইত্যাদি ম্যাঙ্গোস্টিন ফাইটোকেমিক্যালসের প্রতি খুবই সংবেদনশীল হয়। ম্যাঙ্গোস্টিন জ্যান্থনসের মধ্যে ম্যাঙ্গোস্টিইন, গার্টানিন এবং আইসোম্যাঙ্গোস্টিন ইত্যাদি ব্রণের ফলে সৃষ্ট প্রদাহ নাশের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। থাইল্যাণ্ডে পরিচালিত একটি গবেষণা সূত্রে জানা গিয়েছে ব্রণ আক্রান্ত রোগীরা ১২ সপ্তাহ ব্যাপী তাদের ত্বকের ব্রণ আক্রান্ত অংশে ম্যাঙ্গোস্টিনের নির্যাস ব্যবহার করেছেন। এবং ব্যবহারকারীরা খুবই ইতিবাচক ফল পেয়েছেন।(7)
৯। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বর্দ্ধক এবং অকাল বার্ধক্য প্রভাব নাশক – উচ্চ মাত্রার অক্সিডেটিভ স্ট্রেস আপনার শরীরের অধিকাংশ অঙ্গকে প্রভাবিত করে, যার মধ্যে আপনার ত্বকও রয়েছে। আপনার ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে যেমন চামড়া কুঁচকে যাওয়া, বলিরেখা এবং পিগমেন্টেটেশান ইত্যাদি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য ত্বকের সুস্থ্যতা বজায় রাখতে পারে। ম্যাঙ্গোস্টিনের মত একটি ফল শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয়। তাদের সক্রিয় ফাইটোকেমিক্যাল, যেমন জ্যান্থোন, ত্বক কোষ থেকে ফ্রি র্যাডিক্যালস অপসারণ করে। এছাড়াও ম্যাঙ্গোস্টিন জ্যান্থন ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং আর্দ্রতার মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে।(8)
ম্যাঙ্গোস্টিনের পৌষ্টিক তত্ত্ব –
ম্যাঙ্গোস্টিনের পৌষ্টিক উপাদান গুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো –
পৌষ্টিক উপাদান | প্রতি ১০০ গ্রামে পরিমাণ |
জল | ৮০.৯৪ গ্রাম |
শক্তি | ৭৩ কিক্যাল |
প্রোটিন | ০.৪১ গ্রাম |
মোট লিপিড | ০.৫৮ গ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ১৭.৯১ গ্রাম |
ডায়টারি ফাইবার | ১.৮ গ্রাম |
মিনারেলস | |
ক্যালসিয়াম | ১২ মিলিগ্রাম |
আয়রন | ০.৩০ মিলিগ্রাম |
ম্যাগনেশিয়াম | ১৩ মিলিগ্রাম |
ফসফরাস | ৮ মিলিগ্রাম |
পটাশিয়াম | ৪৮ মিলিগ্রাম |
সোডিয়াম | ৭ মিলিগ্রাম |
জিঙ্ক | ০.২১ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন | |
ভিটামিন সি | ২.৯ মিলিগ্রাম |
রাইবোফ্লাবিন | ০.০৫৪ মিলিগ্রাম |
নিয়াসিন | ০.২৮৬ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন বি ৬ | ০.০১৮ মিলিগ্রাম |
ফলেট | ৩১ মাইক্রোগ্রাম |
ভিটামিন এ | ২ মাইক্রোগ্রাম |
ভিটামিন এ | ৩৫ আইইউ |
ম্যাঙ্গোস্টিন ফলের ব্যবহার –
অত্যন্ত উপাদেয় এবং সুস্বাস্থ্যকর ম্যাঙ্গোস্টিন ফলের জনপ্রিয়তা অপরিসীম। এবার দেখে নেওয়া যাক এই ফলের ব্যবহার গুলি কী কী।
- টাটকা তাজা ম্যাঙ্গোস্টিন ফল অন্যান্য ফলের সাথে মিশিয়ে ফ্রুট স্যালাড হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
- অনেকে আবার ম্যাঙ্গোস্টিন ফলের রস পান করতে পছন্দ করেন।
- ম্যাঙ্গোস্টিনের আইসক্রিম তৈরী করে খাওয়া যেতে পারে।
- এছাড়াও ম্যাঙ্গোস্টিনের নানারকম ডেসার্ট তৈরী করা হয়।
- পুডিং তৈরীর ক্ষেত্রেও ম্যাঙ্গোস্টিনের ব্যবহার হতে দেখা যায়।
ম্যাঙ্গোস্টিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া –
ম্যাঙ্গোস্টিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলি হলো যথাক্রমে –
- রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা হ্রাস করে দেয়।
- ল্যাক্টিক অ্যাসিডোসিস সৃষ্টি করে।
- কেমোথেরাপির ক্ষেত্রে বাধা প্রদাণ করে।
- অ্যালার্জির প্রবণতা বৃদ্ধি করে।
- গর্ভবস্থায় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
- গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সমস্যার জন্ম দেয়।
- অনেকক্ষেত্রে আবার মানসিক অবসাদ এবং ঝিমুনি ভাবের উদ্রেগ করে।
তাহলে ওপরের প্রবন্ধ থেকে ম্যাঙ্গোস্টিনের গুণাগুণ সম্বদ্ধে একাধিক তথ্য জানা গেলো। ঐতিহ্যবাহী এই ক্রান্তীয় ফল ডায়রিয়া, অ্যালজাইমারস, এক্সিমা, সহ একাধিক দীএরঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসায় সফলঅভাবে প্রয়োগ করা হয়। তবে সকল ক্ষেত্রেই এই ফল খাদ্য হিসেবে গ্রহণের পূর্বে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরী। অন্যথায় তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হিসেবে দেখা দেবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী –
ম্যাঙ্গোস্টিন ফল কোন কোন অসুখ নিরাময়ে সহায়তা করে?
কিডনি, লিভার, হার্ট, হজম, ইত্যাদি একাধিক অসুখ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ম্যাঙ্গোস্টিন ফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ম্যাঙ্গোস্টিন ফল কী লিভারের জন্য উপকারী?
হ্যাঁ, খুবই উপকারী।
ম্যাঙ্গোস্টিন ফল কী কিডনির জন্য উপকারী?
হ্যাঁ, কিডনির জন্য উপকারী।
Sources
Articles on StyleCraze are backed by verified information from peer-reviewed and academic research papers, reputed organizations, research institutions, and medical associations to ensure accuracy and relevance. Read our editorial policy to learn more.
- Mangosteen Extract Shows a Potent Insulin Sensitizing Effect in Obese Female Patients: A Prospective Randomized Controlled Pilot Study
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC5986466/ - α-Mangostin: Anti-Inflammatory Activity and Metabolism by Human Cells
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3793015/ - Anti-Cancer Effects of Xanthones from Pericarps of Mangosteen
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC2635669/ - Mangosteen Extract Shows a Potent Insulin Sensitizing Effect in Obese Female Patients: A Prospective Randomized Controlled Pilot Study
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC5986466/ - Functional beverage of Garcinia mangostana (mangosteen) enhances plasma antioxidant capacity in healthy adults
http://citeseerx.ist.psu.edu/viewdoc/download?doi=10.1.1.790.5616&&rep=rep1&&type=pdf - Dangerous Interactions â Mangosteen â vitamins â Foods â Drugs â Supplements and Herbs
https://www.academia.edu/25589343/Dangerous_Interactions_Mangosteen_Vitamins_Foods_Drugs_Supplements_and_Herbs - Medicinal properties of mangosteen (Garcinia mangostana)
http://citeseerx.ist.psu.edu/viewdoc/download?doi=10.1.1.464.2810&&rep=rep1&&type=pdf - Mangosteen pericarp extract inhibits the formation of pentosidine and ameliorates skin elasticity
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC4512896/
- Mangosteen Extract Shows a Potent Insulin Sensitizing Effect in Obese Female Patients: A Prospective Randomized Controlled Pilot Study