মৌরি বীজের (মৌরির) উপকারিতা, ব্যবহার এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া – Fennel Seeds (Saunf) Benefits, Uses and Side Effects in Bengali

আপনি কি রোজ খাওয়া-দাওয়ার পর মুখে কয়েকদানা মৌরি ফেলেন? তাহলে শরীর-স্বাস্থ্য, রোগভোগ নিয়ে চিন্তার আর কোনও কারণ নেই। শরীরকে তরতাজা, প্রাণবন্ত এবং সুস্থ রাখতে মৌরি দানার জুড়ি মেলা ভার। শরীরকে সুস্থ রাখতে যেসব খনিজ এবং ভিটামিন আপনার প্রয়োজন তার অধিকাংশই থাকে এই মৌরিতে। তাই মৌরি যে আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।
রক্ত পরিশোধনের পাশাপাশি, মৌরি রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও মৌরি হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখে, স্ট্রেস কমায় এবং রোগজনিত নানারকম শারীরিক অস্বস্তি দূর করতেও সাহায্য করে। মহিলাদের জন্য মৌরি খাওয়া বিশেষভাবে উপকারী। বন্ধ্যাত্বের মত জটিল সমস্যা দূর করারও চাবিকাঠি রয়েছে মৌরির হাতে। সোডিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-কে সমৃদ্ধ মৌরিকে তাই শুধু মুখশুদ্ধিই বলা চলে না। বরং এর গুণাগুণ আরও অনেকে বেশি সুদূরপ্রসারী।
In This Article
শুধু মুখশুদ্ধিই নয়– জানুন মৌরির আরও সব উপকারিতাঃ
নিয়মিত মৌরি খেলে শরীরের সব দূষিত পদার্থ, ক্ষতিকারক টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। যখন শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি সঠিকবাহবে বেরোতে পারে না, তখন সেইসব দূষিত পদার্থগুলি আমাদের কিডনি, অন্ত্র, এবং মূত্রনালীতে জমা হয়ে পাথরের আকার নেয়। ফলে যন্ত্রণা, শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়া, প্রদাহ ও নানারকম শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। মৌরি এই দূষিত পদার্থগুলিকে আমাদের শরীরে জমতে দিতে অনেকাংশে প্রতিরোধ করে। এছাড়াও মৌরি বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে টক্সিন কমাতে সাহায্য করে। এই টক্সিনই রক্তে কোষের সংখ্যা হ্রাস করে এবং শরীরে রক্তচাপের পাশাপাশি আয়রনের ঘাটতির সৃষ্টি করে। এর ফলে আমাদের শরীরে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। তাই বলা যেতেই পারে যে মৌরি একভাবে আমাদের শরীরে রক্তাল্পতা কমাতেও সাহায্য করে। প্রত্যেকদিন মিষ্টিমুখ হোক বা না হোক, তাই খেয়াল রাখুন প্রতিদিন মৌরিমুখ যেন অবশ্যই হয়।
জেনে নিন মৌরি বীজের আরও সব উপকারী গুণাগুণ।
১. খাদ্য পরিপাকে সাহায্য
হজমের গোলযোগ বা গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থাকলে আজ থেকেই মৌরি ভেজানো জল খাওয়া শুরু করুন। মৌরির রস বিশেষভাবে বায়ুরোগ নাশক। মৌরি পেটের নানারকম অস্বস্তি ও বদহমের সমস্যা কমায় ও তা দূর করে। গ্যাস্ট্রিক এনজাইম তৈরীতেও মৌরির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। মৌরিতে থাকা কিছু এসেন্সিয়াল তেল (১) রক্তের সঙ্গে মিশে পাচক রসের ক্ষরণ বাড়ানোর পাশাপাশি পেট ও অন্ত্রের প্রদাহ কমায়। তাই মৌরি খেলে খাবার ভালোভাবে হজম হয়। এবং এর ফলে খাদ্যে থাকা সমস্ত পুষ্টিগুণ শরীরে মিশে যায় এবং ধীরে ধীরে তা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য
মৌরি নানারকম পেটের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। মৌরিতে থাকা ফাইবার পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার সমাধানে ভীষণ উপকারী। পেটে জ্বালা, অম্বল এসব সমস্যারও সমাধান করতে পারে এবং গ্যাস্ট্রাইটিসের লক্ষণ কমাতেও মৌরির জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও, প্রস্রাবনালীতে সংক্রমণ বা প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও করতে পারে মৌরি।
৩. লিভার সুরক্ষিত রাখে এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধিরে সাহায্য
মৌরিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলি লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মৌরিতে থাকে সেলেনিয়াম নামক একটি উপাদান। সেই উপাদানটি লিভার থেকে বের হওয়া এনজাইমগুলির নিঃসরণ এবং তাদের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে লিভারে উপস্থিত টক্সিক পদার্থগুলি সহজেই বেরিয়ে যায়। তবে এই বিষয় নিয়ে এখন আরও গবেষণা চলছে। তবে ২০১১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মৌরি লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে (২)।
৪. দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য
মৌরিতে রয়েছে ভিটামিন-এ, যা চোখের জন্য খুবই উপকারী। এই ভিটামিন-এ চোখের জ্যোতি বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং চোখের নানারকম রোগ প্রতিরোধ করে। চোখের একটি মারাত্মক সমস্যা- গ্লুকোমা। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ ক্ষীণ হতে থাকে। এই রোগের সঙ্গেও মোকাবিলা করতে পারে মৌরি।
৫. ওজন কমাতে সাহায্য
মৌরিতে থাকা ফাইবার যেমন হজম ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনই আবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলত ক্ষুধাভাব কমে। তাই পেট ভরে খাবার পরেও টুকটাক মুখ চালানোর অভ্যেস যাদের রয়েছে, তাদের কাছে এই মৌরি খুবই উপকারী। খাবার ভালোভাবে পরিপাক ও হজম হওয়ার ফলে শরীরের ইতিউতি মেদ জমে যাওয়ার ভয় থাকে না। নিয়মিত মৌরি খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ে, (৩) বাড়ে মেটাবলিজমের হারও। তাই মৌরি খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত জল প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
৬. হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যার প্রতিরোধ
ঠান্ডা লেগে বুকে শ্লেষ্মা জমলে বা কারোর শ্বাসজনিত রোগ থাকলে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা হয়। মৌরি ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি শুকনো কাশি, বুকে শ্লেষ্মা জমা, ব্রংকাইটিস ও অন্যান্য শ্বাসনালী সংক্রান্ত্র রোগের প্রকোপ কমাতে পারে এবং দ্রুত নিরাময় করতেও সাহায্য করে।
মৌরিতে থাকা ‘ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’ সাইনাসের প্রকোপ কমায়। মৌরি বীজে আছে এক বিশেষ উপাদান যা শীতকালে দেহের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে এবং শরীরকে দ্রুত সুস্থ করে তোলে।
মৌরির পাতা গরম জলে সেদ্ধ করে নিয়ে তার থেকে ওঠা ধোঁয়ার ভাপ নিলে ব্রংকাইটিস বা অ্যাজমা রোগ সারে। তবে অনেকের আবার মৌরি খেলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় (৪)। তাই অ্যাজমাজনিত গুরুতর কোনও সমস্যা থাকলে বা প্রবল শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পর তাঁর অনুমতি নিয়ে প্রথাগত চিকিৎসার পাশাপাশি কাজে লাগাতে পারেন মৌরি দিয়ে বানানো ঘরোয়া কিছু টোটকা।
৭. কাশির সমস্যা দূর করতে সাহায্য
ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেরই ঠাণ্ডা লেগে সর্দি-কাশি হয়। দূষণ বেড়ে যাওয়ায় আজকাল বেশীরভাগ মানুষই শুকনো কাশির সমস্যায় ভোগে। এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে রোজ খান মৌরি। কাশি-সর্দির সমস্যা সমাধানে মৌরি খুব উপকারী।
৮. নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা কমায়
অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় মুখ খুললেই নিঃশ্বাসের সঙ্গে বাজে গন্ধ বেরোচ্ছে। লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় তাই স্বাভাবিকভাবেই তারা ভীষণ বিড়াম্বনায় পড়েন। আর এই সমস্যার সমাধানও রয়েছে মৌরির কাছে। মৌরি মুখে দিয়ে চেবালে মুখে লালার নিঃসরণ বেড়ে যায়। ফলে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলি আর দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকতে পারে না। এছাড়া মৌরিতে থাকে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল কিছু উপাদান। এই উপাদানগুলি মুখের মধ্যে থাকা জীবাণু যা দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে, তাদের নিমেষের মধ্যে মেরে ফেলে। অতএব, এবার থেকে মুখের দুর্গন্ধ দূর করুন মৌরির সুগন্ধ দিয়ে।
৯. কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ
বর্তমানে কমবয়সী অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং মাত্রারিক্ত চাপের কারণে রক্তচাপের পাশাপাশি তাঁদের রক্তে বাড়তে থাকছে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা। রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গিয়ে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এর ফলে হৃৎপিন্ডের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সেই জায়গায় মৌরিতে থাকা ফাইবার দেহের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং হৃৎপিন্ডকে সুরক্ষিত রাখে। তাই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের পাশাপাশি আজ থেকেই প্রতিদিন মৌরি খাওয়া শুরু করুন।
১০. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমায়
যাদের হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের প্রত্যেকদিন নিয়ম করে মৌরি খাওয়া উচিৎ। কাঁচা মৌরি চিবিয়ে খেলে লালারসে নাইট্রাইটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে তা লালার সঙ্গে রক্তে প্রবেশ করে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও মৌরিতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্যালশিয়াম এর মতো দুই অত্যাবশ্যকীয় খনিজ। এগুলি রক্তে মিশে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং বেশী থাকলে রক্তচাপ কমাতেও (৫) তা সাহায্য করে।
১১. ডায়াবেটিক রোগীদের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ
ডায়বেটিসের নাম শুনেই আতঙ্কে ভোগেন বহু মানুষ। কারণ একবার এই রোগ ধরলে তা সারাজীবনের সঙ্গী। কারণ, এখনও পর্যন্ত এই রোগ সম্পূর্ণভাবে নিরাময়ের কোনো চিকিৎসা বেরোয়নি। তবে এই রোগ ধরলেও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা যায়। তবে ভয়ের বিষয় হল, এই মারণ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিনকে দিনে বেড়েই চলেছে। যাদের পরিবারে ডায়বেটিস রোগটি ইতিমধ্যে হানা দিয়েছে, তাদের নিয়মিত মৌরি খাওয়া উচিৎ। মৌরিতে থাকা ভিটামিন-সি, বিটা-ক্যারোটিন এবং একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মৌরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যা ডায়বেটিক রোগীদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও নিয়মিত মৌরি খেলে ডায়বেটিস সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। এছাড়া মৌরি বীজের মধ্যে থাকে কম পরিমাণ গ্লাইকেনিক ইনডেক্স। (৬) তাই ডায়াবেটিক রগীদের খাবারের তালিকায় একে রাখা খুবই উপকারী।
১২. স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য উপকারী
যারা সদ্য মা হয়েছেন কিংবা বেশ ক’বছর ধরে সন্তানকে দুগ্ধ পান করাচ্ছেন, তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী মৌরি বীজ। প্রত্যেকদিন মৌরি খেলে বা মৌরির চা পান করলে স্তনে দুধের পরিমাণ এবং দুধের নিঃসরণ বাড়ে। কারণ মৌরি বীজের রয়েছে ‘অ্যানথোল’ নামক এক ইস্ট্রোজেন হরমোনের উপাদান (৭) যা দুগ্ধ গঠন এবং নিঃসরণ প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে।
এছাড়া মৌরি বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এবং বৃদ্ধি করে, যা গর্ভবতী মহিলা ও নতুন মায়েদের জন্য ভীষণ জরুরি।
১৩. প্রাতঃকালীন অসুস্থতা কমানোর ঘরোয়া উপায়
গর্ভবতী মহিলাদের কাছে প্রাথমিক পর্যায়ের সকালটা খুব কষ্টকর হয়। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় চোখ খোলা মাত্র শুরু হয়ে গিয়েছে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাবের মতো নানারকম শারীরিক অস্বস্তি। দুপুর গড়াতে গড়াতে সমস্যা কিছুটা কমলেও, অনেকের আবার সারাদিন ধরেই থাকে এই সমস্যা। তবে এই গা গোলানো, বমি বমি ভাবের লক্ষণ দেখা দিলে মুখে কয়েক দানা মৌরি ফেললেই দেখবেন দারুন কামাল।
মৌরি দিয়ে চা বানিয়ে খেলে মৌরির সুগন্ধেও কমতে পারে আপনার এই মর্নিং সিকনেসের প্রকোপ।
১৪. ঋতুকালীন মহিলাদের শারীরিক সমস্যা কমায়
মৌরি বীজ মহিলাদের ইস্ট্রোজেন হরমোনের নিঃসরণে সহায়তা করে এবং মহিলাদের ঋতুকালীন সকল সমস্যার সমাধান করে। জরায়ুর সংকোচন প্রতিরোধ করে, ফলে মাসিক (পিরিয়ড) শুরু হওয়ার আগে বা পরে যে ব্যাথা হয় তা কম হয়। এমনকি মৌরি খেলে মাসিক চলাকালীন ঋতুস্রাবের ব্যথাও কম হয়। এছাড়া মৌরি মহিলাদের মেনোপজের লক্ষণ কমাতেও সাহায্য করে (৮)। একে এমানোগজ বলে।
১৫. স্তনের আকার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
স্তনের আকার বৃদ্ধির জন্য বাজারে যেসব হার্বাল প্রোডাক্ট বিক্রি হয়, সেইসব পণ্যের প্রধান উপকরণ হল এই মৌরি। কারণ, আগেই বলেছি, মৌরি বীজে রয়েছে ‘অ্যানথোল’ নামক এক ইস্ট্রোজেন হরমোনের উপাদান। নিয়মিত মৌরি খেলে ইস্ট্রোজেন হরমোনের নিঃসরণও বৃদ্ধি পায়। তবে যেহেতু এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায় না, তাই মৌরিকে এই উদ্দেশ্যে ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
১৬. অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়
মৌরির চা হল সেই ম্যাজিক তরল, যা পান করলে শরীর থেকে সকল স্ট্রেস দূর হয়। ফলে শরীরে একটা স্বস্তি এবং আরাম ভাব ফেরে। তাই মৌরি খেলে স্বাভাবিকভাবেই নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আসে এবং ভালোভাবে সারারাত ঘুম হয়। মৌরিতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম অনিদ্রা রোগ দূর করে।
১৭. হার্নিয়ার সমস্যা কমায় এবং প্রতিরোধ করে
কিছু তথ্যসূত্র অনুযায়ী, চিনে হার্নিয়া রোগের চিকিৎসায় মৌরির ব্যবহারের প্রচলন আছে। (৯) তবে, হার্নিয়ার প্রথাগত চিকিৎসায় সত্যিই মৌরি কার্যকরী কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কোনও তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায় না।
১৮. মুখে ছত্রাক সংক্রমণের উপশমে উপকারী
ক্যানডিডা অ্যালবিকানস ফাংগাস যখন মুখের মেমব্রেনে জমা হয়, তখন মুখে ছত্রাক সংক্রমণের মতো সমস্যা দেখা দেয়। যা সাধারণত জিভ ও চিবুকের ভেতরের অংশেই হয়ে থাকে। ওনেকের ক্ষেত্রে ব্রাশ করার সময় সংক্রামিত স্থান থেকে সামান্য রক্ত বের হতে পারে আবার সেই সংক্রমণের জন্য ব্যথাও হতে পারে। মৌরির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল কিছু উপাদান, যা সংক্রমণ কম করে এবং ক্ষতস্থান সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। বলাইবাহুল্য যে, মৌরি বীজের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ও ক্যান্ডিডা রোগের চিকিৎসায় সহায়ক। এক্ষেত্রে সকালের জলখাবারের পর এক টেবিল চামচ মৌরি মুখে নিয়ে চেবালে আরাম পাওয়া যায়। আবার প্রত্যেকদিন সকালে আপনি মৌরি দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারেন।
১৯. ত্বকের যত্ন নেয়
নিয়মিত মৌরি বীজ খেলে শরীরে সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়ামের মতো উপাদান বাড়ে। এই উপাদানগুলি হরমোন ও অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষা করে ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং অ্যান্টিএজিং উপাদান হিসাবেও দারুণ কাজ করে (১০)। নিয়মিত মৌরি খেলে ত্বকের জেল্লা বাড়ে, বয়সের ছাপ দূর হয়। ব্রণ, ফোড়া, ফুসকুড়ির সমস্যা দূর করার ক্ষমতাও আছে মৌরির। নিয়মিত মৌরি খেলে দেহে টক্সিনের পরিমাণ কমে, কোষ্ঠকাঠিন্য ও মলত্যাগের সমস্যা দূর হয় এছাড়াও শরীরে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান সৃষ্টি হয়, তাই ব্রণ আর ফুসকুড়ির সমস্যা কমে যায়।
ত্বকের পরিচর্যায় মৌরি দিয়ে বানাতে পারেন বিভিন্ন ফেস প্যাক আর ফেস সিরাম। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন –
মৌরি দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ফেস প্যাক বানানোর পদ্ধতি
- ত্বকের বলিরেখা কমাতে, ত্বকে মসৃণভাব ফেরাতে এবং স্কিনটোনের উন্নতিতে বানাতে পারেন মৌরি আর দই-এর এই ফেসপ্যাক। এক বাটি জলের মধ্যে দুই চামচ মৌরি নিয়ে জলটা অল্প আঁচে মিনিট ১৫ ফোটান। জল ঠাণ্ডা হয়ে এলে এর মধ্যে এক চামচ দই দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটি সারা মুখে লাগিয়ে মিনিট ১৫-২০ অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রত্যেকদিন এই ফেসপ্যাক মুখে লাগালে বয়সের ছাপ দূরে পালাবে কয়েকদিনের মধ্যেই।
- আধা কাপ ফুটন্ত জলে কয়েক চামচ মৌরি যোগ করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর এতে মেশান এক টেবিল চামচ ওটমিল এবং এক টেবিল চামচ মধু। এবার মসৃণ প্রলেপটি সারা মুখে লাগান এবং মিনিট ২০ অপেক্ষা করুন। তারপর ঈষৎ উষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু তিন দিন এই ফেসপ্যাকটি লাগালে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
মৌরির ফেস সিরাম
এক বাটি জলের মধ্যে এক চামচ মৌরি বীজ নিয়ে ১৫-২০ মিনিট ফোটান। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হয়ে এলে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা মৌরির এসেন্সিয়াল অয়েল বা দু-তিন ড্রপ টি-ট্রি অয়েল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর, এক টুকরো তুলো মিশ্রণটিতে ভিজিয়ে সারা মুখে ভালোভাবে লাগান এবং হালকা হাতে মালিশ করুন। এতে ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং লোপকূপের মধ্যে জমে থাকা ধুলো-ময়লা ধুয়ে যাবে। দিনে তিন-চার বার মৌরি দিয়ে বানানো এই ঘরোয়া ফেস সিরাম লাগালে ত্বকের দীপ্তি তো বাড়বেই সাথে শুষ্কতা দূর হবে।
২০. চুলের যত্নে মৌরি
মৌরির অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান খুস্কি, মাথার তালুতে চুলকানি, চুলের ডগা ফাটা, অত্যাধিক হারে চুল পড়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারে। জেনে নিন কীভাবে এইসব সমস্যার সঙ্গে লড়তে মৌরিকে কাজে লাগাবেন।
- হেয়ার সিরাম – তিন টেবিল চামচ মৌরির বীজ বা বাজার থেকে কেনা মৌরির গুঁড়ো দু কাপ ফুটন্ত জলে মিনিট ১৫ ভিজিয়ে রাখুন। চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। এটি আপনার চুলের গোড়া মজবুত করবে ফলে চুল পড়া বা চুলের ডগা ফাটার মতো সমস্যা দূর হবে। নিয়মিত সিরামটি লাগালে চুলে পুষ্টির ঘাটতি কমবে সঙ্গে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
- হেয়ার টনিক – আপনার স্ক্যাল্প শুষ্ক হলে খুস্কির সমস্যা বা চুলকানি দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে মৌরি আর ভিনিগারের একটি মিশ্রণ বানাতে পারেন। এক কাপ ফুটন্ত জলে এক চামচ মৌরির গুঁড়ো ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর তাতে এক চামচ ভেজিটেবিল গ্লিসারিন ও এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। তারপর সারা চুলে এবং স্ক্যাল্পে ভালোভাবে লাগিয়ে হাল্কা হাতে বেশ কিছুক্ষণ ধরে মালিশ করুনস। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। হেয়ার টনিকটিকে আপনি কাঁচের পাত্রে এক সপ্তাহের জন্য সংরক্ষণও করতে পারেন।
- হেয়ার প্যাক – দু তিন টেবিল চামচ মৌরি গুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ দই মিশিয়ে একটা মসৃণ প্রলেপ বানিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি মাথার তালুতে লাগিয়ে নিয়ে ভালোভাবে হাল্কা হাতে মালিশ করুন। মিনিট ১৫-২০ পর জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ঘরোয়া এই হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে খুস্কির সমস্যা দূর হবে এবং চুল মজবুত হবে।
ছোট্ট মৌরির দানায় দানায় যেসব মহৌষধি গুণ লুকিয়ে রয়েছে তা তো জানলেন। এবার জেনে নিন মৌরি দানার পুষ্টিগুণ কী কী।
মৌরির পুষ্টিগুণ
এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ ভিটামিন, মিনারেলস, ও শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি পদার্থ। এছাড়া মৌরিতে রয়েছে ১১ শতাংশ ফাইবার, ২ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, এবং প্রচুর ভিটামিন যেমন- ভিটামিন-এ (২%) , ভিটামিন-বি-৬ (২%), ভিটামিন-সি (১৭ শতাংশ) এবং ভিটামিন-কে। এত পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকায় মৌরি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এবং বৃদ্ধি করে। এছাড়াও সেলেনিয়াম(১%), নিয়াসিন, ফসফরাস(৪%), পটাশিয়াম(১০%), সোডিয়াম(২%), ক্যালশিয়াম(৪%), ম্যাগনেশিয়াম(৮%), আয়রন(৪%), জিংক(১%), কপার (৩%) এর মতো অত্যাবশ্যকীয় খনিজ পদার্থ।
ক্যালোরি 27 | ফ্যাট থেকে পাওয়া ক্যালোরি 1 | |||
মোট ফ্যাট | ০ গ্রাম | ০% | ||
কোলেস্টেরল | ০ মিলিগ্রাম | ০% | ||
সোডিয়াম | ৪৫ মিলিগ্রাম | ২% | ||
মোট কার্বোহাইড্রেট | ৬ গ্রাম | ২% | ||
ফাইবার | ৩ গ্রাম | ১১% | ||
প্রোটিন | ১ গ্রাম | |||
ভিটামিন | ||||
ভিটামিন এ | ১১৭ আইইউ (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) | ২% | ||
ভিটামিন সি | ১০.৪ মিলিগ্রাম | ১৭% | ||
ভিটামিন ডি | ~ | ~ | ||
ভিটামিন ই ( আলফা টোকোফেরল) | ~ | ~ | ||
ভিটামিন কে | ~ | ~ | ||
থিয়ামিন | ০.০ মিলিগ্রাম | ১% | ||
রিবোফ্ল্যাভিন | ০.০ মিলিগ্রাম | ২% | ||
নিয়াসিন | ০.৬ মিলিগ্রাম | ৩% | ||
ভিটামিন বি-৬ | ০.০ মিলিগ্রাম | ২% | ||
ফোয়ালেট | ২৩.৫ মাইক্রোগ্রাম | ৬% | ||
ভিটামিন বি১২ | ০.০ মাইক্রোগ্রাম | ০% | ||
প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড | ০.২ মিলিগ্রাম | ২% | ||
কোলিন | ~ | |||
বিটাইন | ~ | |||
খনিজ | ||||
ক্যালসিয়াম | ৪২.৬ মিলিগ্রাম | ৪% | ||
আয়রন | ০.৬ মিলিগ্রাম | ৪% | ||
ম্যাগনেসিয়াম | ১৪.৮ মিলিগ্রাম | ৪% | ||
ফসফরাস | ৪৩.৫ মিলিগ্রাম | ৪% | ||
পটাসিয়াম | ৩৬০ মিলিগ্রাম | ১০% | ||
সোডিয়াম | ৪৫.২ মিলিগ্রাম | ২% | ||
জিংক বা দস্তা | ২.৫ মিলিগ্রাম | ১% | ||
কপার বা তামা | ০.২ মিলিগ্রাম | ৩% | ||
ম্যাংগানিজ | ০.১ মিলিগ্রাম | 8% | ||
সেলেনিয়াম | ০.৬ মাইক্রোগ্রাম | ১% |
কীভাবে মৌরি খেলে বেশী উপকার পাওয়া যায়?
- প্রত্যেকদিন সকালে মৌরি দিয়ে চা বানিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এই মৌরির চা বানানো খুবই সহজ। মৌরির দানাগুলো শুকনো খোলায় ভেজে নিয়ে, ৫-৭ মিনিট জলের সঙ্গে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হলে মধু মিশিয়ে পান করুন স্বাস্থ্যকর মৌরির চা। এই মৌরির চা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখেো মৌরি খাওয়া যায়। মৌরি ভেজানো জল মিছরির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পেট ফাপা, পেট কামড়ানোর সমস্যা দূর হয়।
- মৌরি গাছের পাতা জলে ফুটিয়ে খাওয়াও ভীষণ ভালো। মৌরি পাতার রস কৃমিনাশক। এই গরম জল থেকে ওঠা ধোয়ার ভাপ নিলে ব্রংকাইটিস ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা কমে।
কাঁচা মৌরি চিবিয়ে খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, মুখে কোনও রকম ঘা হলে জ্বালাভাব কমে। কাঁচা মৌরির আশে কোলোন ক্যান্সার প্রতিরোধকারী এক বিশেষ উপাদানও রয়েছে।
মৌরির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মৌরির এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও, কারো কারো ক্ষেত্রে মৌরির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় বেশী মৌরি খেলে গর্ভপাতের ভয় থাকে। কারণ, মৌরি বীজের রয়েছে ‘অ্যানথোল’ নামক এক ইস্ট্রোজেন হরমোনের উপাদান যা রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে ও মাসিকের মতো রক্তক্ষরণ শুরু করতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় হয় সীমিত পরিমাণে, নয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই মৌরি খাওয়া উচিৎ।
- মৌরিতে রয়েছে লিপিড ট্র্যান্সফার প্রোটিন (এলটিপি), যা থেকে কিছু মানুষের শরীরে অ্যালার্জি হতে পারে।
- আপনি যদি নিয়মিত কোনও জটিল রোগের ওষুধ খান তবে মৌরি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন। কারণ, মৌরিতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদানগুলি ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট করে দিতে পারে। যদি মৌরি খান, তবে লক্ষ্য রাখবেন যে ওষুধ খাওয়া আর মৌরি খাওয়ার সময়ের মধ্যে যেন কমপক্ষে দু’ঘন্টার ব্যবধান থাকে।
প্রত্যেকদিন পাঁচ থেকে সাত গ্রামের বেশী মৌরি না খাওয়াই ভালো। আর, নিয়মিত মৌরি খাওয়া শুরু করার পর আপনি যদি কোনও প্রকার শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন, সঙ্গে সঙ্গে মৌরি খাওয়া বন্ধ করে দেবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
বহু যুগ ধরে মৌরি মুখশুদ্ধি হিসেবে এবং হেঁশেলে রান্নার মশলা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। আজকে জানলেন মৌরি অচিরেই কীভাবে আপনাকে সুস্থ দেহের অধিকারী করে তুলতে পারে। তাই আজ থেকে দুপুরের পেটপুজোই হোক বা রাতের হাল্কা খাবার, সকল স্বাস্থ্যগুণের কথা মাথায় রেখে মুখে মৌরি ফেলে নিতে ভুলবেন না কিন্তু!
Sources
- Curcumin and Fennel Essential Oil Improve Symptoms and Quality of Life in Patients with Irritable Bowel Syndrome
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/27308645/ - Antioxidant and anticarcinogenic effects of methanolic extract and volatile oil of fennel seeds (Foeniculum vulgare)
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/21812646/ - An Insight of Multitudinous and Inveterate Pharmacological Applications of Foeniculum vulgare (Fennel)-
https://link.springer.com/chapter/10.1007/978-3-030-04408-4_11 - Occupational Allergic Rhinoconjunctivitis and Asthma due to Fennel Seed-
https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S1081120610633698 - The interplay of renal potassium and sodium handling in blood pressure regulation: critical role of the WNK-SPAK-NCC pathway
https://www.nature.com/articles/s41371-019-0170-6 - Efficiency of selected food ingredients on protein efficiency ratio, glycemic index and in vitro digestive properties
https://link.springer.com/article/10.1007/s13197-018-3109-y - Extraction Kinetics and Anethole Content of Fennel (Foeniculum vulgare) and Anise Seed (Pimpinella anisum) Extracts Obtained by Soxhlet, Ultrasound, Percolation, Centrifugation, and Steam Distillation
https://www.tandfonline.com/doi/abs/10.1080/01496395.2011.572575 - Medicinal properties of Foeniculum vulgare Mill. in traditional Iranian medicine and modern phytotherapy
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/23275017/ - Traditional Chinese medicine for treating hernia
https://patents.google.com/patent/CN104083631B/en - Anti-Aging Potential of Phytoextract Loaded-Pharmaceutical Creams for Human Skin Cell Longetivity
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC4581564/
Recommended Articles: