নারকেল তেলের বিশদ আলোচনা, অজানা তথ্য- উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া- Coconut oil in Bengali

আমরা ছোটবেলা থেকেই মা, ঠাকুমা-দিদিমাদের কাছে শুনে এসেছি যে, চুলের জন্য নারকেল তেলের চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। নিয়মিত নারকেল তেল দেওয়া তাঁদের কালো, ঘন, সুন্দর চুলই ছিল তার প্রমাণ। কিন্তু আপনি কি জানেন চুলের পাশাপাশি নারকেল তেল ত্বকের জন্যও সমানভাবে উপকারী? হ্যাঁ, চুলের মতো ত্বকেও পুষ্টি জোগায় নারকেল তেল। শীতকালের রূপচর্চার রুটিনে নারকেল তেলের ব্যবহার তাই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নারকেলের পুষ্টিগুণ অত্যন্ত বেশি। তাই এই নারকেল শুধু রূপচর্চা বা চুলের জন্যই নয়, বরং তা স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী।
In This Article
নারকেল তেল কী?
বিস্তারিতভাবে নারকেল তেলের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনার আগে জেনে নেওয়া যাক নারকেল তেল আসলে কী? নারকেল গাছের ফলের সাদা অংশ অর্থাৎ শাঁস থেকে পাওয়া যায় নারকেল তেল। চুল-ত্বকে লাগানো ছাড়াও এই তেল অনেকে রান্নাতেও ব্যবহার করে থাকেন। একবারে খাঁটি নারকেল তেল যা মূলত ভার্জিন কোকোনাট অয়েল হিসেবে পরিচিত, তাতে থাকে ৯২ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত ফ্যাট। (১) যে যে খাবার কিংবা ভোজ্য তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত ফ্যাট থাকে, তার মধ্যে সবেচেয়ে বেশি পরিমাণ থাকে এই ভার্জিন কোকোনাট অয়েলে। নারকেল তেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড যার জন্যই এই তেলের এত পুষ্টিগুণ। এতে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিডগুলোর মধ্যে লরিক অ্যাসিড আর মাইরিস্টিক অ্যাসিড খুব গুরত্বপূর্ণ। এই তেলের মধ্যে থাকে ৪৪% লরিক অ্যাসিড এবং ১৬.৮% মাইরিস্টিক অ্যাসিড। চুলের তেল হিসেবে এটি বহুল প্রচলিত। প্রাকৃতিক প্রসাধনী সামগ্রী হিসেবেও নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। রূপচর্চার পাশপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের রান্নাবান্নাতেও নারকেল তেল প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়।
নারকেল তেলের প্রকারভেদ
বাজারে সাধারণত দুই রকমের নারকেল তেল পাওয়া যায়।
- পরিশোধিত নারকেল তেল এবং
- অপরিশোধিত নারকেল তেল যাকে ভার্জিন নারকেল তেলও বলা হয়।
এছাড়াও আরেক প্রকার নারকেল তেল বাজারে পাওয়া যায় যা প্রসেসড নারকেল তেল হিসেবে পরিচিত। এই তেল তৈরির প্রক্রিয়ার সময় নারকেল তেল থেকে লরিক অ্যাসিড বের করে নেওয়া হয়।
- পরিশোধিত নারকেল তেল
এই তেল মূলত পাওয়া যায় শুকিয়ে যাওয়া নারকেল থেকে। উচ্চ তাপমাত্রায় ব্লিচিং করার পর ডিওডোরাইজিং পদ্ধতিতে এই তেলে সুগন্ধ যোগ করা হয়। এর গন্ধ একেবারে খাঁটি নারকেল তেলের মতো হয় না। পরিশোধিত নারকেল তেলে একটা প্রশমিত গন্ধ থাকে। রান্নাঘরে বেকিং বা ভাজাভুজির কাজে এই তেল ব্যবহার করা হয়।
- অপরিশোধিত নারকেল তেল
আর এই তেল পাওয়া যায় টাটকা, সতেজ নারকেল থেকে। কোনওরকম উচ্চ তাপমাত্রায় এই তেল পরিশোধন করা হয় না বলে এই তেলকে ভার্জিন নারকেল তেল বলে। এই ধরনের তেলকে ‘কোল্ড প্রেসড্’ও বলা হয়। এই তেলের গন্ধ একেবারে খাঁটি নারকেলের মতো হয় আর গুণাগুণও প্রচুর। এতে আছে ৯২% স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এটিও রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে যে সব খাবার কম আঁচে রান্না করা হয়, সেইসব রান্নার জন্য এই তেল উপযুক্ত। ইউএসডিএ ন্যাশনাল নিউট্রিয়েন্ট-এর ডেটাবেসে বলা হয়েছে এক চামচ ভার্জিন নারকেল তেলে রয়েছে-
- ১১৭ ক্যালোরি
- ০ গ্রাম প্রোটিন
- ১৩.৬ গ্রাম ফ্যাট (তার মধ্যে ১১.৮ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট)
- ০ গ্রাম কার্বোাহাইড্রেট
কোন ধরনের নারকেল তেল ব্যবহার করা উচিৎ?
বিভিন্ন প্রকার নারকেল তেল সম্পর্কে জানার পর ঠিক কী ধরনের নারকেল তেল ব্যবহার করা উচিৎ, সেই প্রশ্ন অবশ্যই আপনাদের মনে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে বলে রাখি, ভার্জিন নারকেল তেল যেহেতু বিশুদ্ধ আর কেমিক্যাল ফ্রী এবং এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস আছে, তাই এই তেল ব্যবহার করাই শ্রেয়।
আবার যখন রান্নার তেল হিসেবে ব্যবহার করবেন তখন কিন্তু রিফাইন্ড নারকেল তেল ব্যবহার করাই উচিৎ। রিফাইন্ড তেলের স্মোকিং পয়েন্ট ৪৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রড।
নারকেল তেলের উপকারিতা
এবার চলুন আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নিই যে, নারকেল তেলের উপকারিতা কী কী?
১. ওজন কমাতে
ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে বর্তমান জেনারেশনের প্রধান সমস্যা হল ক্রমবর্ধমান ওজন। ওজন কমানো এখন অধিকাংশের কাছেই এক রকমের স্বপ্ন। কারণ কে চায় না ওজন কমিয়ে সুস্থ ও সুন্দর থাকতে? নারকেল তেল দেহের অতিরিক্ত ওজন কমায়।
কীভাবে?
নারকেল তেল মিডিয়াম চেন গ্লিসারাইডের প্রধান উৎস। এই মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইড দেহের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট সরিয়ে ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। (২) দীর্ঘ চেন গ্লিসারাইডের তুলনায় মিডিয়াম চেন গ্লিসারাইড দ্রুত ওজন কমাতে সক্ষম। তাই ওজন কমাতে ডায়েটে নারকেল তেল যোগ করা নিরাপদ।
২. হজম শক্তি বাড়াতে
যদি আপনার হজমশক্তি ঠিকঠাক থাকে, আপনি সুস্থ থাকেন, আর শরীরও যখন সুস্থ থাকে তখন অসুখ বিসুখ প্রতিহত করার ক্ষমতা সকলেরই অনেক বেশি থাকে। খুব সহজেই নারকেল তেল আপনার পরিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে?
নারকেল তেলে উপস্থিত মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইডের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ধর্মের জন্য বদহজমে দায়ী জীবাণুগুলি নষ্ট হয়ে যায়। (৩) এর ফলে হজম ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটে না এবং তা তাড়াতাড়ি পাচিত হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টদেরও পাচিত হতে সাহায্য করে। এছাড়া পেটের সমস্যা, ক্রোন’স ডিজিজের মতো হজম সংক্রান্ত অসুখেরও নিরাময় করে এই নারকেল তেল।
বিজ্ঞানীরাও বিভিন্ন গবেষণা করে নারকেল তেলের বিভিন্ন উপকারী দিক গুলোকে তুলে ধরছেন। ডাঃ ওজ তাঁর ওয়েবসাইটে বলেছেন যে, নারকেল তেল হজম শক্তি বাড়ায় এবং ফ্যাটে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলোকে দ্রবীভূত হতে সাহায্য করে (৪)।
৩. সিজারস্ বা খিঁচুনি কমায়
সিজারস্ অর্থাৎ খিঁচুনি রোগ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। কিন্তু নারকেল তেল অনেকাংশেই এই রোগ প্রতিহত করতে সাহায্য করে। নারকেল তেলে উপস্থিত মিডিয়াম চেন গ্লিসারাইড আবার এই রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একটা পরীক্ষায় ৭৩ জন রোগাক্রান্ত বাচ্চাদের দুইভাগে ভাগ করা হয়। একদল বাচ্চাদের দেওয়া হয় কিটোজেনিক ডায়েট, অন্যদলকে তা দেওয়া হয় না। দেখা যায় যে যারা কিটোজেনিক ডায়েট পেয়েছিল তাদের রোগ ৫০% সেরে গিয়ে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। এটাও দেখা গিয়েছে যে, মিডিয়াম চেন গ্লিসারাইড যখন এই কিটোজেনিক ডায়েটে যোগ করা হয়, ফলাফল একই থাকে (৫)।
৪. ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে
আজকের দিনে ডায়াবেটিস মানুষের অন্যতম প্রধান সমস্যা। কিন্তু সুখবর হল, নারকেল তেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং এর পুরো কৃতিত্ব নারকেল তেলের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন গ্লিসারাইডেরই। নারকেল তেল ব্লাড সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। (৬)
৫. হৃদযন্ত্র সম্পর্কিত রোগে
আমরা জানি নারকেল তেলের অধিকাংশই সম্পৃক্ত ফ্যাট দিয়ে তৈরি। এতে উদ্বেগের কারণ নেই। আমরা বেশিরভাগ জনই জানি না সেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট কিন্তু হার্টের অসুখের কারণ নয়। গবেষণা করে জানা গিয়েছে যে, এই স্যাচুরেটেড ফ্যাট দেহে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ফলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। ব্রাজিলে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নারকেল তেল ৪০ জন মহিলার দেহে খারাপ কোলেস্টেরল সহ সমগ্র কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা সমানভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভারতের ইউনিভার্সিটি অফ কেরালা এক গবেষণায় জানিয়েছে যে, নারকেল তেল খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল লেভেল বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তের কোয়াগুলেশন ফ্যাক্টরকেও উন্নত করে যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
৬. অ্যালজাইমার নিরাময়ে সাহায্য
নারকেল তেল ব্রেনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিয়ে অ্যালজাইমারে আক্রান্ত রোগীদের রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। এখানেও মিডিয়াম চেন গ্লিসারাইড সরাসরি লিভারে গিয়ে কিটোনে পরিণত হয়। তারপর সেই কিটোন রক্তের মাধ্যমে ব্রেনে পৌঁছোয়। (৭) ডক্টর নিউপোর্ট তাঁর ‘অ্যালজাইমার’স ডিজিজঃ হোয়াট ইফ দেয়ার ওয়াজ আ কিওর? দ্য স্টোরি অফ কিটোনস’ বইতে লিখেছেন কীভাবে নিয়মিত নারকেল তেলের ব্যবহার তাঁর স্বামীকে ডিমেনশিয়া রোগ থেকে বাঁচিয়েছিল।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্যই আমাদের দেহে বেশিরভাগ রোগ দেখা যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নারকেল তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কীভাবে?
নারকেল তেল খেলে তাতে উপস্থিত লরিক অ্যাসিড পরিণত হয় মনোলরিনে যা একটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট। এটি বিভিন্ন প্যাথোজেন ও ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের এক গবেষণায় প্রমাণিতও হয়েছে যে মনোলরিন, লরিক অ্যাসিড নানা রকমের ব্যাকটেরিয়া ও স্ট্রেপ্টোকক্কাস ভাইরাসকে মারতে সক্ষম।
৮. দাঁতের যত্নে নারকেল তেল
অর্গানিক নারকেল তেলে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। সেই কারণে দাঁতের যত্নের জন্যও অনেকে নারকেল তেল ব্যবহার করে থাকেন। যেহেতু এটি ভোজ্য, তাই এক্ষেত্রে এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই। দাঁতের ক্ষয়, দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি, ক্যাভিটির বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দাঁতে অল্প পরিমাণ অর্গানিক নারকেল তেল ঘষে নিলেই দাঁতের স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে। মুখের ভেতরে যে সব জীবাণু দাঁতের ক্ষতি করে তাদের ধ্বংস করতেও ভীষণ উপকারী নারকেল তেল।
৯. হাড়ের গঠনে
অর্গানিক নারকেল তেল হাড়কে আরও মজবুত করে এবং হাড়ের নমনীয়তা বাড়ায়। এটা সংযোগকারী পেশী এবং হাড়ের চারপাশের কোষকে শক্তিশালী করে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।
১০. আর্থারাইটিস নিরাময়
অর্গানিক নারকেল তেল আর্থরাইটিসের মতো রোগেও ফলপ্রসূ। এই নারকেল তেল মালিশ করলে আর্থরাইটিসের যন্ত্রণা উপশম হয়।
১১. কিডনির সমস্যা রোধে
কিডনির সমস্যা ব্যাপকভাবে কারোর জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু নিজের খাদ্যতালিকায় নারকেল তেল থাকলে চিন্তার কারণ অনেকটাই কমে যায়। কারণ, তা এই রোগ নিরাময়ে সক্ষম।
কীভাবে?
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাধ্যমে কিডনির ক্ষত মেটানো সম্ভব। আরও একটা দৃষ্টি আকর্ষণের ব্যাপার হল যে, নারকেল তেলে থাকা সম্পৃক্ত ফ্যাট, শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ব্যাবহার বাড়ায়, যা কিডনির ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। আরও একটি কারণ যার জন্য নারকেল তেল কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য উপকারী, তা হল এতে থাকা মিরিস্টিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড কিডনির ইনফেকশনে উপশম দেয় (৮)।
১২. খিদে নিয়ন্ত্রণ
অনেককেই দেখা যায় বেশিরভাগ সময় খিদে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অনেক কিছু একসঙ্গে খেয়ে ফেলেন। এর ফলে তাঁদের মধ্যে দ্রুত অসুস্থ হয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা দেয়। তাই তাঁরা যদি নিজেদের রোজকার খাবার ও ডায়েটে নারকেল তেল যোগ করেন, তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়া দুপুরে ও রাতে খাওয়ার ১৫ – ২০ মিনিট আগে নারকেল তেল খেলে, তা আপনার অতিরিক্ত খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। কারণ, অধিকাংশ নারকেল তেলে ৬৬% ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরিয়ে দেয় এবং আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
১৩. ফাঙ্গাল সংক্রমণ প্রতিরোধ
নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান, যা ক্ষতিকর অণুজীব বা মাইক্রোঅর্গানিজমের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এতে থাকা লরিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়াল ও ফাঙ্গাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে।
১৪. ভাইরাল ইনফেকশন
ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে নারকেল তেল। অর্গানিক নারকেল তেল ক্যাপ্রিক অ্যাসিডের উৎস। ক্যাপ্রিক অ্যাসিড ভেঙে মনোক্যাপ্রিনে পরিণত হয়। আর মনোক্যাপ্রিন মানবদেহের শ্বেত রক্তকণিকাকে উদ্দীপিত করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।
১৫. ত্বরিত শক্তি উৎস
নারকেল তেলের মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড ক্ষুদ্রান্তে না ভেঙে শোষিত হয়ে লিভারে চলে যায়। তার মধ্যে কিছু অংশ কিছু কিটোনে পরিণত হয়, যে কিটোন ব্রেনের ডিসঅর্ডার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এইভাবেই নারকেল তেল তাৎক্ষণিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
১৬. লিপ বাম তৈরিতে সাহায্য
শীতকাল এলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা কম বেশি সবারই দেখা দেয়। তার জন্য লিপ বাম ব্যবহার করা খুব জরুরি। বাজারে অনেক রকমের লিপ বাম পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু আপনি বাজারের জিনিসের বদলে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেল হল একদম খাঁটি প্রাকৃতিক লিপ বাম, যা সম্পূর্ণ কেমিক্যাল ফ্রি। প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে অল্প করে নারকেল তেল আঙুলে নিয়ে ঠোঁটে লাগলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়া ঠোঁটের যত্ন নিতে মাসে দুই থেকে তিনবার লিপ স্ক্রাবিং করাও দরকার। অল্প নারকেল তেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ঘরে তৈরি লিপ স্ক্রাবারের সাহায্যে আপনার ঠোঁটকে করে তুলুন কোমল ও নরম।
১৭. সানস্ক্রিন হিসেবে নারকেল তেল
গ্রীষ্মকাল হোক বা শীতকাল, ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির হাত থেকে বাঁচাতে হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অবশ্যই দরকার। (৯) নারকেল তেলে ন্যাচারাল এসপিএফের মাত্রা থাকে ৪ থেকে ৫, যা খুবই অল্প এবং ত্বককে রোদ থেকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত নয়। তাই নারকেল তেল সানস্ক্রিন হিসেবে ব্যবহার করতে গেলে তাতে মেশাতে হবে কিছু এসেনসিয়াল অয়েল। যেমন রেড রাপসবেরি সিড অয়েল যার এসপিএফ মাত্রা প্রায় ২৫। এটি নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে সানস্ক্রিন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে এটি আপনার ত্বকের পক্ষে উপযুক্ত কিনা!
১৮. প্রাকৃতিক হেয়ার মাস্ক
যেমন গাছের বৃদ্ধির জন্য সঠিক খাদ্য ও জল প্রয়োজন, ঠিক সেইরকমই চুলের বৃদ্ধির জন্যও প্রয়োজন পুষ্টিকর উপাদান। নারকেল তেল চুলে ন্যাচারাল মাস্ক হিসেবে কাজ করে। চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এই বিশেষ ধরনের মাস্ক ব্যবহার করতেই পারেন, যার প্রধান উপকরণ অবশ্যই নারকেল তেল। এই মাস্ক আপনার চুল ও মাথার তালুকে ময়েশ্চারাইজ করে।
- হেয়ার মাস্কের উপাদান
১) ৩ চামচ অর্গানিক ভার্জিন নারকেল তেল
২) ১ চামচ অলিভ ওয়েল
৩) ২.৫ চামচ ফ্লেভারহীন জিলাটিন
- ব্যবহারের পদ্ধতি
উপরের এই তিনটি উপাদানকে প্রথমে একটি ছোট বাটিতে নিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে। তারপর সেই মিশ্রণটি ভালো করে পুরো চুলে লাগাতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর তা ধুয়ে ফেলে চুলে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের জন্য এই মাস্ক খুবই উপকারী। অলিভ অয়েল চুলকে কন্ডিশনিং করে এবং জিলাটিন প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে। তবে চুলের দৈর্ঘ্য ও ঘনত্ব অনুযায়ী এই উপাদানগুলো নিতে হবে।
নারকেল তেলের পুষ্টিগুণ
মোট পরিমাণ | ১০০ গ্রাম |
---|---|
ক্যালোরি | ৮৬২ কিলো ক্যালোরি |
মোট ফ্যাট | ১০০ গ্রাম |
স্যাচুরেটেড ফ্যাট | ৮৭ গ্রাম |
পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট | ১.৮ গ্রাম |
মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট | ৬ গ্রাম |
নারকেল তেলের ব্যবহার
যুগ যুগ ধরে নারকেল তেল বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই প্রবন্ধের আলোচনায় সেগুলি তুলে ধরা হল।
- রান্নাঘরে
নারকেল তেল গ্রহণ করার সবচেয়ে প্রচলিত উপায় হল রান্নার তেল হিসেবে ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে রিফাইন্ড তেল ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।
আপনার পছন্দের সবজিগুলো হাল্কা ভাজার জন্য একটা প্যানে নারকেল তেল নিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন, একটু গরম হয়ে গেলে সবজিগুলো অল্প আঁচে ভেজে নিলেই পুষ্টিকর খাদ্য তৈরি। ইচ্ছে হলে অল্প মশলা মিশিয়ে নিন।
বেকিং-এর কাজেও নারকেল তেলের বহুল ব্যবহৃত হয়।
- ঠাণ্ডা- গরম পানীয়ে, স্মুদিতে
১) শিশু থেকে বয়স্ক স্মুদি কে না পছন্দ করেন? এই স্মুদি ব্লেন্ড করার সময় ১-২ চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিলে স্মুদির স্বাদও উপভোগ করতে পারবেন। আর তার সঙ্গে তা নারকেল তেলের পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় শরীরের জন্যও উপকারী হবে।
২) নারকেল তেল খাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল সকালে চায়ের কাপে এক চামচ বা সন্ধ্যায় কফির কাপে এক চামচ যোগ করে দেওয়া।
- রূপচর্চায়
১) চুলকে সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়া ও রুক্ষতা থেকে বাঁচাতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন চুলে নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করা উচিৎ।
২) রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকে নারকেল তেল মালিশ করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে হালকা করে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে ত্বক মসৃণ হয়।
৩) চোখের তলায় ডার্ক সার্কেল নিরাময়ে নারকেল তেল লাগান। এতে চোখের কোণের ফোলা ভাবও কমে যায়।
৪) গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে পেটে বা আবার অনেকে হঠাৎ করে মোটা বা রোগা হয়ে গেলে শরীরের যে কোনও জায়গায় স্ট্রেচ মার্ক পড়ে। সেই দাগ দূর করতেও নারকেল তেল খুব কার্যকরী। যেসব জায়গায় স্ট্রেচ মার্ক পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেখানে আগে থেকেই নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে আর স্ট্রেচ মার্ক পড়ে না।
৫) মেকআপ তোলার জন্য নারকেল তেল অসাধারণ কাজ করে। তুলোয় নারকেল তেল নিয়ে ত্বকে হাল্কা করে মুছে নিলে অনায়াসেই মেকআপ উঠে যায়।
- বিকল্প হিসেবে
রান্নাবান্নায় ব্যবহৃত অন্যান্য উদ্ভিজ্জ তেলের বিকল্প হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করা হয়। মাখনের পরিবর্তে নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘরের তাপমাত্রায় এনে নারকেল তেল ব্যবহার করুন যেমন ভাবে মাখন বা বাটার ব্যবহার করেন।
নারকেল তেল নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা
নারকেল তেলে অনেক গুণ থাকা সত্ত্বেও কিছু ধারণা প্রচলিত আছে যা বিভিন্ন গবেষণার পর ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে।
১) নারকেল তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় নারকেল তেল হার্টের জন্য ক্ষতিকারক। এই ধারণা যে একেবারেই ভুল তা বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, স্যাচুরেটেড ফ্যাটের সঙ্গে কার্ডিওভাসকুলার রোগের কোনও সম্পর্ক নেই। (১০) সবচেয়ে নজরকাড়া তথ্য হল আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন জানিয়েছে যে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট স্ট্রোকের রিস্ক কমায়।
২) ভার্জিন নারকেল তেলই একমাত্র উপকারী, রিফাইন্ড নারকেল তেল ব্যবহারযোগ্য নয়। এটা ঠিক যে ভার্জিন নারকেল তেল রিফাইন্ড নারকেল তেলের চেয়ে অনেক বেশী খাঁটি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে রিফাইন্ড নারকেল তেল ব্যবহার উপযোগী নয়। রান্নার তেল হিসেবে ব্যবহৃত নারকেল তেলও স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে।
কীভাবে নারকেল তেল সংরক্ষণ করবেন?
ঘরের তাপমাত্রায় নারকেল তেল রাখাই যায়। সেক্ষেত্রে একটি ঠাণ্ডা জায়গা, অর্থাৎ যেখানে রোদ পৌঁছায় না এরকম একটি জায়গায় রাখলে নারকেল তেল অনেকদিন পর্যন্ত ঠিক থাকে। তাছাড়া ফ্রিজে রাখলেও নারকেল তেল অনেকদিন পর্যন্ত থাকে, নষ্ট হয় না। ফ্রিজে রাখলে নারকেল তেল কঠিন অবস্থায় থাকে, তবে এটা ঘরের তাপমাত্রায় আনলে আস্তে আস্তে গলতে থাকে। বাতাসের অক্সিজেন নারকেল তেলকে নষ্ট করে। তাই যে বোতলে তেল থাকবে সেটার মুখ খুব ভালো করে বন্ধ রাখতে হবে।
কোথায় নারকেল তেল কিনবেন?
আপনার এলাকার আশেপাশের সব দোকানেই আপনি নারকেল তেল পেতে পারেন। তবে উপাদানগুলি খেয়াল করে তবেই কিনবেন। এখন অনলাইন স্টোরেও নারকেল তেল সহজলভ্য। তবে অর্গানিক নারকেল তেল কিনতে গেলে অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের কেনা উচিৎ।
নারকেল তেলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
নারকেল তেল জাদুকরী। কিন্তু নারকেল তেলের কি সম্পূর্ণটাই গুণ? না, এমনটা নয়। এই তেলের কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যা পরবর্তী সময়ে কাজে লাগতে পারে।
১) নারকেল তেল ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল করে ঠিকই কিন্তু যাদের সেনসেটিভ স্কিন তারা বেশি মাত্রায় এই তেল ব্যবহার করলে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
২) নারকেল তেল প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তাই এই তেল নিয়মিত খেলে ধমনীতে ফ্যাট জমে উচ্চ রক্তচাপ দেখা যায়। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়তে পারে।
৩) অতিরিক্ত নারকেল তেল খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনাো থাকে।
৪) যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে নারকেল তেল খেলে বা ত্বকে লাগালে ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি হওয়ার সমস্যাও দেখা যায়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীঃ
নারকেল তেল ব্যবহার করার পর ধুয়ে ফেলা উচিৎ?
না, নারকেল তেল ব্যবহারের পর ধুয়ে ফেলার কোনও দরকার হয় না।
কাঁচা নারকেল তেল কি পানযোগ্য?
কাঁচা নারকেল তেল পান না করে রান্নায় ব্যবহার করে তারপর খাওয়া উচিৎ।
মাত্রাতিরিক্ত নারকেল তেল ব্যবহার করলে কী হতে পারে?
মাত্রাতিরিক্ত নারকেল তেল ব্যবহার করলে অ্যালার্জি, ডায়রিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টরেল বৃদ্ধি, হার্টের অসুখ হতে পারে।
দিনে কী পরিমাণ নারকেল তেল গ্রহণ করা উচিৎ?
গবেষণাউঃয় জানা গিয়েছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে ৩০ মিলিলিটার ভার্জিন নারকেল তেল খেতে পারেন। এতে ভালো কোলেস্টেরল লেভেলের উন্নতি হয়। যদিও দিনে ঠিক কত পরিমাণ নারকেল তেল গ্রহণ করা যায় এই বিষয়ে সেইভাবে কিছু তথ্য পাওয়া যায় না। তবে এর বেশি তেল না খাওয়াই ভালো। প্রয়োজনে ৫ এমএল করে শুরু করুন, কোনো রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না দেখলে পরে পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।
প্রতিদিন নারকেল তেল পান করলে কী হতে পারে?
প্রতিদিন নারকেল তেল পান করলে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।
ঘুমোতে যাওয়ার আগে কি নারকেল তেল পান করা যায়?
ঘুমোতে যাওয়ার আগে পান না করে মিল খাওয়ার ১৫-২০ মিনিট আগে তা খাওয়া উচিৎ।
ভার্জিন নারকেল তেল পান করার উপযুক্ত সময় কখন?
এই বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
পেটে নারকেল তেল মালিশ করলে কী হয়?
পেটে নারকেল তেল মালিশ করলে পেটের মেদ কমে, পেটের ত্বক চকচকে মসৃণ হয়।
নারকেল তেল কি পেটের মেদ ঝরাতে পারে?
হ্যাঁ, নারকেল তেল পেটে জমে যাওয়া চর্বি ধীরে ধীরে গলিয়ে পেটের মেদ ঝরায়।
নারকেল তেল কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?
হ্যাঁ, নারকেল তেল ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই বিষয়ে আমরা ওপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
নারকেল তেল কি ব্রণ কমায়?
হ্যাঁ, নারকেল তেল ব্রণর সমস্যা কমায়। ব্রণর কারণে তৈরি হওয়া দাগ ও ক্ষতও নারকেল তেল সারাতে সাহায্য করে। তবে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কম পরিমাণে তেল ব্যবহার করাই ভাল।
নারকেল তেল ম্যাসাজের উপকারিতা কী কী?
নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে ত্বক মসৃণ ও কোমল হয়। স্ট্রেচ মার্ক দূর হয়। আর্থ্রারাইটিস দূর করতেও নারকেল তেল ম্যাসাজ করা হয়।
Sources
- Saturated Fat
https://www.heart.org/en/healthy-living/healthy-eating/eat-smart/fats/saturated-fats#.V4SkiGh97IW - Coconut Oil: This Cooking Oil Is a Powerful Virus-Destroyer and Antibiotic
https://articles.mercola.com/sites/articles/archive/2010/10/22/coconut-oil-and-saturated-fats-can-make-you-healthy.aspx - Antibacterial study of the medium chain fatty acids and their 1-monoglycerides: individual effects and synergistic relationships
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/19469285/ - The Surprising Health Benefits of Coconut Oil
https://www.doctoroz.com/article/surprising-health-benefits-coconut-oil - Medium-chain triglyceride (MCT) ketogenic therapy
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/19049583/ - The Benefits of Coconut Oil
https://www.doctoroz.com/blog/charles-mattocks/benefits-coconut-oil - Two Exciting Alzheimer’s Advances: A Novel Early Detection Test Using Peanut Butter, and a Study Evaluating Coconut Oil
https://articles.mercola.com/sites/articles/archive/2013/11/07/peanut-butter-coconut-oil-alzheimers-detection.aspx - Protective effect of myristic acid on renal necrosis occurring in rats fed a methyl-deficient diet
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/10743677/ - A randomized double-blind controlled trial comparing extra virgin coconut oil with mineral oil as a moisturizer for mild to moderate xerosis
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/15724344/ - Medium Chain Triglyceride Oil Consumption as Part of a Weight Loss Diet Does Not Lead to an Adverse Metabolic Profile When Compared to Olive Oil
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC2874191/