অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করছেন ? পাকা কথার আগে এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলতে ভুলবেন না

বিয়ে করার সিদ্ধান্ত জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । তাই বুঝে শুনে বুদ্ধি দিয়ে বিচার করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বেশ কিছু বছর প্রেম করে বিয়ে করলে দুজন দুজনকে আগে থেকেই কিছুটা জানা যায়, তবে সম্পূর্ণ জানা বাকি থাকে। তবে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করলে কিন্তু এই সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে আজকাল দেখা শোনা করে বিয়ে করলেও একে ওপরের সাথে দেখা করার বা কথা বলার সুযোগ থাকে। তাই বিয়ের পাকা কথা হওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে ভালোভাবে আলাপ ও কথা বার্তা সেরে নিন, এতে ভবিষ্যতে আপনাদেরই সুবিধা হবে।
তবে হ্যাঁ আপনাকে বলছি, বিয়ের পাকা কথা হওয়ার আগে অবশ্যই যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন, তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।
মানসিকতা কিরকম দেখে নিন
যার সাথে আপনার বিয়ে ঠিক হচ্ছে ও তাঁর বাড়ির মানসিকতা ঠিক কিরকম তা কিন্তু একটু যাচাই করে নিন। প্রথমে নিজের বিপরীতে থাকা মানুষটির সাথে দেখা করুন এবং তার মানসিকতার সঙ্গে আপনার মানসিকতার কি একটুও মিল আছে, তা বোঝার চেষ্টা করুন। তার সঙ্গে সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির মানুসিকতাও কেমন দেখে নিন। এক্ষেত্রে তাঁকে বলতেই পারেন তাঁর বাড়িতে ঘুরিয়ে আনতে। বলবেন এতে ভবিষ্যতে আপনারই নতুন জায়গায় গিয়ে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে। তবে যদি দেখেন, শ্বশুরবাড়ির পণ নেওয়ার মানসিকতা আছে তখনই বেরিয়ে আসুন এই ব্যাপারটির থেকে।
কম্প্যাটিবিলিটি বা মনের মিল আছে তো ?
একটি সুস্থ সম্পর্কের ক্ষেত্রে মনের মিল থাকা অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করছেন বলে এরকম কোনো ব্যাপার নেই যে মনের মিল না থাকলেও বাড়ি থেকে দেখা শোনা করেছে বলে বিয়ে করতে হবে। মনে রাখবেন আপনার জীবনের সিদ্ধান্ত আপনার হাতেই।
সম্মান পাচ্ছেন তো?
অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ যখন করছেন অবশ্যই বুঝতে চেষ্টা করবেন যে হবু শ্বশুরবাড়ির সবাই আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে সম্মান করছে কিনা ? এটি খুবই জরুরি। সব ধরণের সম্পর্কের ক্ষেত্রেই সম্মান থাকা খুব প্রয়োজন।
অর্থ ও সম্পত্তির ব্যাপারে কথা বলে নিন
বিয়ের পাকা কথার আগে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা কিরম তা বুঝে নেবেন । আপনি নিজে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলেও মনে রাখবেন, আপনাকে একটি অন্য পরিবারের সাথে গিয়ে থাকতে হবে। তাই তাদের অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা আপনার জীবনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
দুজনের জীবনের প্রতি চাহিদা এক তো ?
ধরুন আপনি চান নিজের শহরে থাকতে আর এদিকে যার সাথে আপনার বিয়ে ঠিক হচ্ছে তিনি চান ভবিষ্যতে দেশের বাইরে থাকতে। তাহলে আপনার কি মনে হয় এই বিয়ে কি সুখের হতে পারে ? এক্ষেত্রে যেকোনো একজনকে মানিয়ে নিতে হবে। এর থেকে ভালো না আগে থেকেই এসব কথাবার্তা সেরে রাখা ! যাতে পরবর্তী সময়ে সমস্যা না হয়। এটি ছিল একটি উদাহরণ, এইরকম নানা ধরণের চাহিদা মানুষের জীবনে থাকে। তাই এ সম্পর্কে কথা বলে নেবেন অবশ্যই।
একসঙ্গে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন
আমি জানি কথাটা একটু অদ্ভুত লাগছে শুনতে, তবে এটা ঠিক যে দুজনে যদি একসাথে অন্তত দুদিনের জন্য ঘুরে আসেন, তাহলে আপনার বিপরীত দিকের মানুষটিকে একটু কাছ থেকে জানার সুযোগ পাবেন।
আর হ্যাঁ, নিজের মনের কথা শুনুন। কে কি বলছে তা জানার দরকার নেই। আপনি কি চান তা সবচেয়ে জরুরি।