ব্রেকআপের পর মুভ অন করতে সমস্যা হচ্ছে ? জানুন এর উপায়
আমরা প্রায় সবাই কোনো না কোনোদিন সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গেছি, তবে ব্রেকআপের পরের সময়টি একেবারে অন্যরকম। এই সময় বেশিরভাগ জনই মানসিক ভাবে এতটাই ভেঙে পড়েন যে মুভ অন করতে খুবই সমস্যা হয়। তবে সময় তো কারোর জন্য কখনও থেমে থাকে না বা থেমে থাকবেও না। তাই নিজের জীবনকেও থামিয়ে রাখলে চলবে না। তাই নিজেকে এই সময় সামলাতে হবে আর তা না করলে অবসাদ গ্রাস করে নিতে পারে ।
ব্রেকআপের পর ঠিক কিভাবে নিজের জীবনকে আবার সুন্দর করে গুছিয়ে নেবেন তার জন্য রইলো কিছু পরামর্শ।
ব্রেকআপ নিয়ে ভাবা বন্ধ করুন
ব্রেকআপের পর মুভ অন করার প্রথম পদক্ষেপ হল সদ্য হওয়া ব্রেকআপ নিয়ে ভাবনা চিন্তা বন্ধ করুন। যা হয়ে গেছে তা পরিবর্তন আপনি করতে পারবেন না, তাই দিন রাত আগের সব ঘটনা না ভেবে নিজের জন্য ভাবতে শুরু করুন। আর তা নাহলে এই বিষয় নিয়ে স্ট্রেসে ভুগতে শুরু করবেন।
নিজের যত্ন করুন ও নিজেকে সময় দিন
ব্রেকআপের কথা চিন্তা করতে করতে আপনি হয়তো নিজের সৌন্দর্যই হারিয়ে ফেলছেন। তাই এইসব কথা না ভেবে নিজের যত্ন নিন। নিয়মিত স্কিন কেয়ার ও হেয়ার কেয়ার রুটিন ফলো করুন। ইচ্ছে হলে কোনো পার্লারে গিয়ে নিজের চুল কাটিয়ে নিজের লুক পরিবর্তন করুন, নিজেকে দেখতে ভালো লাগলে মন ফুরফুরে হবে । নিজের খুব পছন্দের কোনো জিনিস যা হয়তো এতদিন আপনি নানা কারণে কিনতে পারেননি, এখন তা কিনুন। বই পড়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন।
একাই ঘুরতে যান
ভেবে দেখেছেন কি আপনি নিজের অনেক ইচ্ছেই সম্পর্কের খাতিরে পূরণ করতে পারেননি। এখনই সেই সময়। নিজের পছন্দের কফিশপে বসে কফি খান, শপিং করুন বা সিনেমা দেখুন। কোনো সোলো ট্রিপেও যেতে পারেন, এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। উপভোগ করুন এই একা একা ঘুরে বেড়ানোকে।
নিজের জন্য ফুল কিনুন
কি অবাক লাগছে শুনে ? তবে করেই দেখুন না। নিজের পছন্দের ফুল কিনে নিজেকেই উপহার দিন না, দেখবেন মন কত ভালো হয়ে যাবে।
নিজের ঘর সাজান
নিজের ঘরের সাজ সজ্জায় বদল আনুন। খাট অন্য ভাবে ঘুরিয়ে রাখুন, আর তার সঙ্গে অন্য আসবাবপত্রও। নিজের ঘরের দেওয়ালে আপনার পছন্দমতো ছবি বা স্টিকার লাগান। মোটিভেশনাল কোটস নিজের হাতে লিখে আটকাতে পারেন। নিজের জন্য কিনে আনা ফুল দিয়ে ঘর সাজান। এছাড়া টেবিলের ওপর কোনো ইন্ডোর প্ল্যান্ট এনেও রাখতে পারেন।
একা একা খাওয়া উপভোগ করুন
বাড়িতে নিজের জন্যই স্পেশাল কোনো ডিশ বানিয়ে খান, কিন্তু তা সুন্দর ভাবে পরিবেশন করতে ভুলবেন না যেন। আর ইচ্ছে হলে সেই ডিশের ফটো তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করতে পারেন। এতে আপনার মন বেশ চনমনে থাকবে। ধরুন একদিন আপনার রান্না করতে ইচ্ছে করছে না, নিজেই চলে যান রেস্তোরাঁতে। নিজের পছন্দের খাবার খেয়ে আসুন একাই।
নিজেকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কাজে ব্যস্ত থাকুন। বাড়িতে খুদে কোনো সদস্য থাকলে তার সঙ্গে সময় কাটান কারণ বাচ্চারা মন ভালো করার দারুন ওষুধ। আশা করি, ওপরের টিপসগুলি আপনাকে মুভ অন করতে ও নিজের জীবনকে পসিটিভিটিতে ভরিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।