প্রিয় বন্ধু পাশে তো আছেনই, এবারে ঐন্দ্রিলার কঠিন লড়াইয়ের সঙ্গী হতে নিজের সব চুল কেটে ফেললেন তাঁর বাবা
দিন কয়েক আগেই এক ঢাল কালো চুলকে বিদায় জানাতে হয় ঐন্দ্রিলা শর্মাকে, কারণ শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যানসার। আর এবার মেয়ের এই কঠিন লড়াইয়ের সঙ্গী হতে তাঁর বাবাও মাথার সব চুল কেটে ফেললেন। তাই আবেগে ভেসে গিয়ে বাবার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে শেয়ারও করলেন সেই ছবি। ছবিতে ঐন্দ্রিলাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছেন তাঁর বাবা। ছবির ক্যাপশনে ঐন্দ্রিলা লিখেছেন, ‘বাবা কখনও মুখে বলে না ভালবাসি। নীরবে প্রাণ দিয়ে ভালবেসে যায়। কাল হঠাৎ সব চুল কেটে দেয়। বাবার ভালবাসা হয়তো এ রকমই হয়। আমি খুবই সৌভাগ্যবতী’।
এর আগে, অভিনেত্রীর প্রিয় বান্ধবী পারমিতা সেনগুপ্তও তাঁর সাহস জোগানোর জন্য নিজের চুল কেটে ন্যাড়া হয়েছিলেন। তখন বান্ধবীর ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ‘জিয়নকাঠি’ অভিনীত ঐন্দ্রিলা ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘কিছু বন্ধুত্ব এরকমও হয় আমি বাকরুদ্ধ।’ সত্যিই এমন বন্ধু পাওয়া খুব মুশকিল !
ক্লাস ইলেভেনে পড়ার সময় প্রথমবার ঐন্দ্রিলার দেহে থাবা বসায় মারণরোগ ক্যানসার। ১৬ টা কেমো নেওয়ার পর এই রোগকে জয় করে ফিরেছিলেন। তারপর তিনি তাঁর অভিনয় জীবন চালিয়ে যেতে থাকেন। কিছুদিন আগে আবার হঠাৎ সেই রোগ ! চিকিৎসা শুরু হল। সর্বক্ষণ পাশে রইলেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ‘বামাক্ষ্যাপা’ খ্যাত অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী।
কেমোর পরে যে চুল পড়ে সে তথ্য ঐন্দ্রিলার কাছে কিছু নতুন ছিল না। দিল্লি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতায় ফিরে তাঁর বড় চুল বেশ কিছুটা ছোট করে ফেলেছিলেন। পরে চিকিৎসার জন্য চুল পড়ে যাওয়ার আগে তাই নিজেই চুল পুরোই কেটে ফেলেন। নিজের সব চুল কেটে দেওয়ার পর একটি সুন্দর ছবিও পোস্ট করেন ঐন্দ্রিলা ইনস্টাগ্রামে। ক্যাপশনে লেখেন, ‘চুলেই নারীর সৌন্দর্য, আর নয়’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরে এই খবর। অনুরাগীরা ঐন্দ্রিলার মনের জোরকে কুর্নিশ জানায় ।
এরপর তার প্রিয় বন্ধু সব্যসাচী তাঁর চুল কেটে ছোটো করে দেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই ছবি পোস্টও করেন। তাঁর এই পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় ঐন্দ্রিলার কঠিন সময়ে আরও বেশি করে তাঁকে আঁকড়ে ধরতে চান তিনি। দেখেও কি ভালো লাগে তাই না ?
বাবা, মা, প্রিয় বন্ধু বান্ধবী সবাই ঐন্দ্রিলার পাশে আজ। শুধু একটাই কামনা তাঁর আরোগ্যপ্রাপ্তি। ঐন্দ্রিলাও নিজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নয়, প্রচন্ড সাহস ও মনোবল তাঁর। দ্বিতীয় লড়াইটাকেও যে তাঁকে জিততে হবে।